ঢালিউডের চার কন্যা। মৌসুমী, শাবনূর, পপি ও পূর্ণিমা। এ জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা এখন কেমন আছেন। কীভাবে কাটছে তাদের বর্তমান সময়। এ নিয়ে দর্শক-ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। নব্বই দশকে প্রায় একই সময়ে চলচ্চিত্রে আসেন তারা। সুঅভিনয় দিয়ে অল্প সময়ে দর্শকপ্রিয়তাও পেয়ে যান। ২০০০ সালের প্রথম পর্যন্ত একটানা অভিনয় করেন। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও পরে তাদের আর নিয়মিতভাবে বড় পর্দায় পাওয়া যায়নি। তাদের দিনকাল কেমন কাটছে তা এখানে তুলে ধরা হলো—

মৌসুমী এখন আবার অভিনয় আর নির্মাণে ব্যস্ত আছেন। গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘মন জানে না মনের ঠিকানা’ ছবিটি। নির্দেশনা দিয়েছেন ‘ভালোবাসবোইতো’ এবং ‘শূন্যহৃদয়’ ছবি দুটি। এ ছাড়া অভিনয় করছেন ‘লিডার’, ‘পোস্টমাস্টার একাত্তর’সহ বেশ কটি ছবিতে। এ ছাড়া ছোট পর্দার নাটক ও টিভিসিতে অভিনয় নিয়েও ব্যস্ত আছেন তিনি। সম্প্রতি ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪-তে ‘তাঁরকাটা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ  অভিনেত্রীর সম্মান পান মৌসুমী।

শাবনূর

শাবনূর অভিনয় থেকে দূরে আছেন। ২০১০ সালের পর থেকেই চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় থেকে বছরের বেশির ভাগ সময় ছোটবোন ঝুমুরের কাছে থাকতে শুরু করেন। ২০১৩ সালে সর্বশেষ অভিনয় করেন ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবিতে। ওই বছরই ছবিটি মুক্তি পায়। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আবার অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান এবং ডিসেম্বরে মা হন তিনি। ২০১৪ সালে দেশে ফিরলেও আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি। গত বছরের শেষদিকে তার আগে কাজ শুরু করা ‘পাগল মানুষ’ ছবির বাকি অংশের শুটিং শেষ করেন। এরপর একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজও করেন। এখন তিনি সন্তান আইজান আর স্বামী অনিককে নিয়েই সংসারে সময় কাটাচ্ছেন শাবনূর।

পপি

তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী পপির হাতে এখন তেমন ছবি নেই। ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’ ছবির কাজ শেষ করেছেন ২০১৪ সালে। ওই বছর তার অভিনীত ‘চার অক্ষরে ভালোবাসা’ ছবিটিও মুক্তি পায়। পপি বারবারই বলছেন, মনের মতো গল্প পাচ্ছেন না বলে আর নিয়মিত অভিনয় করতে পারছেন না তিনি। এখন মা, ভাইবোন নিয়ে বাসায় বেশির ভাগ সময় কাটে তার। মাঝেমধ্যে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্টেজ পারফর্ম করতে দেখা যায় তাকে। ছোটপর্দার নাটকে মাঝে বেশ কিছুদিন কাজ করতে দেখা গেলেও এখন সেখানেও অনুপস্থিত পপি।

পূর্ণিমা

মিষ্টি মেয়ে পূর্ণিমার এখন বড়পর্দায় উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ২০০৭ সালে চুপিসারে বিয়ে করার পর থেকেই মূলত অভিনয় কমিয়ে দিতে শুরু করেন তিনি। ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেন এবং সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর মাঝেমধ্যে মুক্তি পায় তার আগে কাজ শেষ করা কিছু ছবি। এর মধ্যে ২০১৪ সালে সর্বশেষ বড়পর্দায় আসে ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ ছবিটি। এর মাঝে অবশ্য ছোটপর্দার রিয়েলিটি শোতে বিচারক হিসেবে দেখা গেছে তাকে। এখন ঈদের জন্য একটি ৭ পর্বের নাটকে কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। নাটকের শিরোনাম ‘লাভ অ্যান্ড কোং’।