আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে আপনার ভাবনা কি?
আমার কাছে প্রতিটি দিবসই নৃত্য দিবস। নাচের জন্য আমার কাছে আলাদা কোনো দিনই নেই। আমার যাপিত জীবনের সঙ্গে নাচ একটা বিশেষ অংশ জুড়েই রয়েছে। তাই নাচকে কোনো বিশেষ দিবসের মধ্যে বেঁধে রাখতে চাই না। তারপরও যেহেতু বিশেষ কিছু দিন থাকে সেগুলোতে আমরা বিশেষ নজরও দিয়ে থাকি। আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষে সারা বিশ্বের সব নৃত্যানুরাগী, নৃত্যগুরু, পৃষ্ঠপোষক ও শিল্পীদের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
শাস্ত্রীয় নাচ হচ্ছে নন্দনতত্ত্বের একটি জটিল ও কঠিন মাধ্যম। কিন্তু শৈল্পিক এই নৃত্যটি জনপ্রিয়তা সেভাবে না পাওয়ার কারণ কী?
সারাবিশ্বে ধ্রুপদী নৃত্যের শ্রেণি একেবারেই আলাদা। এটা আম-জনতার নাচ না। আমাদের পাশের দেশেও ধ্রুপদী নাচের চর্চা কমে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দিনেদিনে আমাদের দর্শক বাড়ছে, অনুষ্ঠান বাড়ছে এবং শিক্ষার্থী বাড়ছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে শাস্ত্রীয় নাচের এখন ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নাচ এখন একটা অপরিহার্য বিষয় হয়ে পড়েছে। আগের তুলনায় ধ্রুপদী নাচ বর্তমানে অনেক বেশি কদর পাচ্ছে।
যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা সেভাবে এগিয়ে যেতে পারছে না। এটার কারণ কী?
পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এমনটি হচ্ছে। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে মাঝে মাঝে কাজ করার সাহস পাই না। আমরা ধ্রুপদী নাচকে যেভাবে এগিয়ে নিচ্ছি এতে যদি একটু পৃষ্ঠপোষকতা পেতাম তাহলে সফলতার দিকে নাচ এখন আরও অনেক উঁচু একটি অবস্থানে থাকত। গণমাধ্যমও ধ্রুপদী নাচকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সংস্কৃতির অনেক চটুল বিষয়কে গণমাধ্যম যেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছে ধ্রুপদী নাচকে সেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছে না। যার কারণে আমাদের মাঝে অনেক ক্ষোভও আছে। কিন্তু এসব ক্ষোভ কার কাছে বলব। যাদের কাছে আমাদের ক্ষোভ প্রকাশ করার কথা তারাইতো আমাদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়াকে ধ্রুপদী নাচের প্রতি একটু মনোযোগী হওয়া উচিত।
নাচ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ধ্রুপদী নাচের প্রতি মানুষের অনুরাগ ও ভালোবাসা আরও বাড়ুক এটাই আমি চাই। পরিকল্পনা করে কিছুই করা হয় না। তবে আজীবন নাচের সঙ্গে থাকব, কারণ আমার জীবনতো জড়িয়ে আছে নাচের সঙ্গেই।