বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঈদে ঢাকায় কলকাতার ছবি!

আলাউদ্দীন মাজিদ

ঈদে ঢাকায় কলকাতার ছবি!

ঈদে কলকাতার ছবি ঢাকায় মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এজন্য ছবিটির প্রযোজক ও আরেক চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন।

একটি সূত্র জানায় ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রযোজিত ও সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত প্রসেনজিৎ, দেব ও অংকুশ অভিনীত কলকাতার নির্মাণাধীন ছবি ‘জুলফিকার’ ঈদে ঢাকায় মুক্তি দিতে চাচ্ছেন ছবির প্রযোজক শ্রীকান্ত মেহেতা। যদিও ছবিটি দুর্গাপূজায় কলকাতায় মুক্তির কথা রয়েছে তারপরেও বাংলাদেশ সম্মত হলে এটি ঈদেই দুই বাংলায় মুক্তি দিতে চান তিনি। আর এই মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে ২১ মে ঢাকা আসেন তিনি ও আরেক চলচ্চিত্র প্রযোজক বিজয় খেমকা। ওইদিন হোটেল সোনারগাঁওয়ে মধুমিতা সিনেমা হলের অন্যতম কর্ণধার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সহসভাপতি ইফতেখার নওশাদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন এবং ছবিটি ঈদে মধুমিতায় প্রদর্শনের অনুরোধ জানান। অন্যদিকে ছবিটি আমদানির জন্য প্রদর্শক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরীকে অনুরোধ জানানো হয়। ইফতেখার নওশাদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের অনুরোধের পরিপ্র্রেক্ষিতে আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছি ঈদে কলকাতার ছবি এখানে প্রদর্শন করা সম্ভব নয়। কারণ দুই ঈদ হচ্ছে চলচ্চিত্র ব্যবসার প্রধান মৌসুম। নির্মাতারা ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হতে ঈদে ছবি মুক্তি দিতে মুখিয়ে থাকে। তাই ঈদ ছাড়া অন্য যে কোনো সময় কলকাতার ছবি এখানে মুক্তি দেওয়া যায়, ঈদে নয়। সাইফুল ইসলাম বলেন, তারা আমাকে আগে সেখানে আমার রপ্তানি করা ৪টি ছবির বিপরীতে ‘জুলফিকার’ ছবিটি ঈদে আমদানির অনুরোধ করেন। আমি তাদের সরাসরি না করে দিয়েছি। কারণ ছবি যদি আমদানি করতেই হয় তা আমি নিজেই করব। কারও মাধ্যমে নয়। তাছাড়া ঈদে কলকাতার ছবি আমদানি করলে তা দেশীয় ছবির জন্য ক্ষতিকর হবে।

এ খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ও ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানির অন্যতম উদ্যোক্তা সুদীপ্ত কুমার দাস। তিনি বলেন, শ্রীকান্ত মেহেতা ও বিজয় খেমকা এসেছিলেন ঈদে এখানে ছবি প্রদর্শন করে এদেশে তাদের বাজার তৈরির জন্য। যা হতে দেওয়া যায় না। কারণ ভারতীয় বাংলা ছবি এখানে আসবে শুধু স্থানীয় ছবির ঘাটতি পূরণ করে সিনেমা হল রক্ষার জন্য। বাইরের কারও ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য নয়। সোজা কথা হচ্ছে এখানে কলকাতার ছবির অবাধ বাজার তৈরি হতে দেব না। তিনি জানান, শ্রীকান্ত মেহেতা ইমপার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমাদের রপ্তানি করা ৮টি ছবি সেখানে প্রদর্শনে অনুমতি দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করেছেন। তাছাড়া কলকাতার চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী যারা ঢাকায় এসে বড় বড় কথা বলেন আর ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের জন্য মায়াকান্না করেন, তারাই কলকাতার নন্দন প্রেক্ষাগৃহে আমাদের ছবি চলতে দেন না। এ অবস্থা কখনো সহ্য করা হবে না। আমরা সরকারি নিয়মনীতি মেনে রপ্তানির বিনিময়ে আমদানি করব এবং সিনেমা হল বাঁচাতে যা করা দরকার তাই করব। কোনোভাবেই কলকাতার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে দেব না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর