শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : শাকিব খান

ঈদ আর রমজানে নো ডায়েটিং

আলাউদ্দিন মাজিদ

ঈদ আর রমজানে নো ডায়েটিং

ঈদে মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খান অভিনীত ৩ ছবি। ২০০৭ সাল থেকেই প্রতি ঈদে এই শীর্ষ নায়কের সর্বোচ্চ ছবি মুক্তি পেয়ে আসছে। দর্শকও  ঈদের আনন্দ পেতে শাকিবের ছবি দেখে তৃপ্ত হচ্ছে। তাই ঈদ মানেই শাকিব খান। ঈদের দিনের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে আজ তার ইন্টারভিউ-

 

এবারের ঈদেও আপনার সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পাচ্ছে, তাহলে ঈদ মানেই শাকিব খান—

হ্যাঁ, গত ৯ বছর ধরে তাই হয়ে আসছে। আসলে দর্শক নির্মাতার চাওয়া-পাওয়া বলে কথা। তাদের চাহিদার কারণেই আমাদের সবচেয়ে বড় এই আনন্দের দিনে আমার অভিনীত সর্বোচ্চ সংখ্যক ছবি মুক্তি পায়।

 

আগে বা বর্তমান সময়ে অন্য কোনো নায়কের বেলায় কিন্তু এমনটি হয়নি—

ওই যে বললাম, দর্শক নির্মাতার ভালোবাসা। এই কারণেই ঈদে একসঙ্গে আমার অভিনীত অনেক ছবি থাকে।

 

এতে কি আপনিও আনন্দিত?

স্বাভাবিকভাবে আনন্দের ব্যাপারতো বটেই। কিন্তু ব্যবসায়িকভাবে তা নয়। কারণ আমাদের দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। একসঙ্গে বড়জোর দুটি ছবি মুক্তি পেতে পারে। এর চেয়ে বেশি হলে সব ছবি আশানুরূপ লাভের মুখ দেখতে পারে না। তাছাড়া দর্শকও চিন্তায় পড়ে যায়। টিকিটের দাম এবং ব্যস্ততা  বেড়েছে। এতে চার ছবি দেখার মতো অর্থ এবং সময়ের জোগান দেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই একসঙ্গে আমার অভিনীত বেশি ছবি মুক্তিতে তেমন আনন্দ পাই না।

 

ঈদে আপনার ৩ ছবি নিয়ে কিছু বলুন—

শিকারী, সম্রাট এবং মেন্টাল। চমৎকার গল্পে নির্মিত হয়েছে ছবিগুলো। একটি ছবির গল্পের চেয়ে অন্যটি একেবারেই ভিন্ন। দর্শক ৩টি ছবি দেখে ৩ ধরনের মজা পাবে। চবিত্রেও ভ্যারিয়েশন আছে। তিন ছবিতে তিন শাকিব খানকে খুঁজে পাওয়া যাবে। এককথায় ছবিগুলো দেখে ঈদের আনন্দ বলতে যা বোঝায় তার চেয়ে এক রত্তিও কম পাবে না দর্শক। গল্প, চরিত্র, গান, লোকেশন, অভিনয়, নির্মাণ-সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ ছবি হয়েছে তিনটিই। কোনো খুঁত থাকছে না। এতে আমি যেমন আনন্দিত তেমনি দর্শকও ছবিগুলো দেখার পর দারুণ অ্যাপ্রিসিয়েট করবে। মানে ঈদে ছবি দেখার আনন্দ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি না।

 

কিন্তু মেন্টাল ছবির নাম পরিবর্তনকে তো দর্শকরা ভালো চোখে দেখছে না—

হ্যাঁ, এ ব্যাপারে আমিও হতাশ আর লজ্জিত। কারণ আমরা যখন অনেক কষ্ট আর পরিশ্রম করে আমাদের গর্বের চলচ্চিত্রকে মন্দাবস্থা থেকে আবার উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছিলাম তখন ‘মেন্টাল’ নাম বদলে ‘রানা পাগলা’ করা সত্যিই দুঃখজনক। এটি নির্মাতা, পরিচালক সমিতি এবং সেন্সর বোর্ডের দৈন্যতা ও রুচিহীনতার পরিচয়। তিন পক্ষই দায়িত্বহীনের মতো কাজ করেছে। তাহলে আমরা কি আবার আমাদের চলচ্চিত্রকে অশ্লীলতার সময়ে নিয়ে যাচ্ছি? আমি অন্তত এ অবস্থা মেনে নিতে পারি না। তথ্য মন্ত্রণালয়, সেন্সরবোর্ডসহ সব জায়গায় প্রতিবাদ এবং নাম বদলের আহ্বান জানিয়েছি। এমন কুরুচিপূর্ণ নাম বা যে কোনো বিষয়ের প্রতি আমার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।

 

ঈদের দিন কোথায় থাকছেন?

ঈদে আমি ঢাকাতেই থাকি। নামাজ পড়ার পর পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে নিজের অভিনীত ছবিগুলো দেখতে বেরিয়ে পড়ি। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছবি দেখার পর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে মজা করে সময় কাটাই।

 

ঈদের জামা আর খাবারের মধ্যে পছন্দ কী?

ঈদে পাঞ্জাবি পরি। বাবা-মা এখনো তা কিনে দেন। যদিও বিরিয়ানি খুব পছন্দের তবুও ঈদ আর রমজানে সব খাবার খাই। এ সময়ে নো ডায়েটিং। বছরের ১১ মাস তো ডায়েট করি। এ এক মাস শুধু মজার খাবারের জন্য নির্ধারিত রাখি। ১২ মাসেই যদি হিসাব করে খেতে হয় তাহলে তৃপ্তির বিষয়টিতো অধরাই থেকে যাবে, হা...হা..হা..।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর