রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

কক্সবাজারে নির্মাতা মাহমুদ দিদারকে হেনস্তার অভিযোগ

শোবিজ প্রতিবেদক

কক্সবাজারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুললেন নাট্য পরিচালক মাহমুদ দিদার। ১৩ জুলাই সাগরপাড়ে শুটিংকে ঘিরে এ অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি। দিদার জানান, ১২ জুলাই  নিয়ম মেনে অনুমতি নিয়ে কক্সবাজারে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘স্বপ্নের গাঙচিল’ নামে একটি নাটকের কাজ করেন তিনি। পরদিন সাগরপাড়ে দৃশ্যধারণের পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য তার ভাই দীপ্ত টিভির প্রতিনিধি হারুনুর রশীদ সকালেই জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে যান। কিন্তু সেখানে তখন ভিডিও কনফারেন্স চলছিল।

এদিকে নিলয় ও শখসহ কলাকুশলীদের নিয়ে মাহমুদ দিদার ততক্ষণে সাগরপাড়ে পৌঁছে গেছেন। দীপ্ত টিভির প্রতিনিধি তার একটি অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করে ফের জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে পৌঁছানোর আগে খবর আসে দিদারকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার মাহমুদ। তারপর থেকে দুই ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তাকে। সঙ্গে অনুমতি ছাড়া শুটিংয়ের কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দিদারের ভাষ্য, ‘আমরা সাগরপাড়ে গিয়ে কাজের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ক্যামেরা চালু করিনি। কারণ আমার ভাই জানিয়েছিল, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ব্যস্ত। তাই অপেক্ষা করছিলাম। অথচ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ দেখিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জরিমানা করলেন। তিনি আমাকে বসতে পর্যন্ত বলেননি। আমি তো ভাই আসামি না। আগামীতে কক্সবাজার এসে অন্য কোনো চলচ্চিত্রকর্মীকে যেন হেনস্তা করা না হয় সে জন্য অভিযোগ করলাম।’

এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার মাহমুদ বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া শুটিং করতে সমুদ্র সৈকতে এসেছিলেন তারা। তাই তাদের জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারণ সাগরপাড়ে পর্যটকরা ঘোরাফেরা করছেন। আর খুব কম পর্যটকই একা বেড়াতে যান সেখানে। সবাই দল বেঁধে ঘোরেন। সেক্ষেত্রে একটি ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে নির্মাতা মাহমুদ দিদারের সাগরপাড়ে যাওয়াকে কেন নেতিবাচকভাবে দেখা হলো তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

সর্বশেষ খবর