বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নাটকের মান উন্নয়ন ও নির্মাতাদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করব : গাজী রাকায়েত

শোবিজ প্রতিবেদক

নাটকের মান উন্নয়ন ও নির্মাতাদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করব : গাজী রাকায়েত

টেলিভিশনের নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস গিল্ড’। ২০০২ সালে গঠন করা হয় সংগঠনটি। এত দিন সিলেকশন পদ্ধতিতে এর কমিটি গঠন করা হলেও গত শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো সংগঠনটির প্রথম নির্বাচন। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গাজী রাকায়েত। নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের অনুভূতি ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন তিনি মিডিয়ার সঙ্গে। তার কথায় নাটকের মান উন্নয়ন ও নির্মাতাদের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেবেন তিনি।

গাজী রাকায়েত বলেন, সবার আগে পরিচালকদের যে পেশাদারির সংকট, সেটি দূর করব। যেমন— নানা ধরনের অসহায়ত্বে ভোগা, অর্থ ঠিকমতো না পাওয়া, নাটকটি কোথায় যাবে, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুরো প্রযোজনার দায়ভার বহন করতে হয় পরিচালককে। আমি চাই, একজন অভিনয়শিল্পী সকালবেলা যেভাবে হাসতে হাসতে সেটে যান, সেভাবে পরিচালকরাও যাবেন। পরিচালকদের সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। একটা ভালো কাজ হতে হলে সবার মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে। আমরা সব সংগঠন যেমন অভিনয়শিল্পী, টেকনিশিয়ান, মেকআপম্যান, প্রযোজকদের সংগঠন মিলে একটি ফেডারেশন তৈরি করব। তাহলেই অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। দেশে বছরে কত সংখ্যক পরিচালক তৈরি হলেন এবং কতজন পরিচালক কাজ করছেন, তার একটা তালিকা হালনাগাদ রাখা একটি সংগঠনের দায়িত্ব। এই কাজটিও করবে ডিরেক্টরস গিল্ড।

গাজী রাকায়েত বলেন, প্রধান পরিকল্পনা হলো আমাদের পেশাদারিত্বের যে সংকট ও কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করব। আর এসব একা সমাধান করা যাবে না। তাই আমরা সব সংগঠন তথা প্রযোজক, শিল্পী, মেকআপ, চিত্রগ্রাহক, ক্যামেরা, এডিটিং, শুটিং হাউস ও টিভি চ্যানেল মিলে একটা ফেডারেশন করতে চাই। এসব সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে আমরা একটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাই, যেখানে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করব। আমাদের ফেডারেশনের অনুমতি ছাড়া কোনো নাটক চ্যানেলে যাবে না। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে নাটক আটকে দিয়ে সমাধান করব। তাহলেই আমাদের সব ধরনের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘ডিরেক্টরস গিল্ড’ একটা মাদার অর্গানাইজেশন। নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় পড়েন নির্মাতারা। বিশেষ করে শিডিউল একটা বড় সমস্যা। আর নিয়ম-কানুনের অভাবে অনেক সময় মানসম্পন্ন প্রোডাকশন তৈরি হচ্ছে না। কোয়ালিটি হারাচ্ছে। এগুলো নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে বড় জটিলতা। আমার ইচ্ছা সব সমস্যা কাটিয়ে শতভাগ সফল হওয়া। দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। সমস্যা সমাধান করে নাটকের ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। টিভি নাটকের এ মুহূর্তে মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলেন, বাংলা নাটকের মান দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। যখন নিয়ম-কানুনের মধ্যে চলে আসবে তখন নাটকের মান অবশ্যই ভালো হবে। বাংলাদেশের নাটকের মান পৃথিবীর অন্য সব দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এত কম বাজেটে আমরা যে কোয়ালিটির নাটক নির্মাণ করছি, পার্শ্ববর্তী দেশ অথবা অন্যরা এ কোয়ালিটি দিতে পারবে না। আমাদের সমস্যা হলো বাজেট। এটা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে বসব। অনেক নির্মাতা বাজেটের কারণে নাটক নির্মাণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে। গাজী রাকায়েত বলেন, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া আমরা এটাকে কোনোভাবেই উন্নত করতে পারব না। আমাদের অবশ্যই সরকারের সঙ্গেও সংগঠনটি নিয়ে বসতে হবে।

সর্বশেষ খবর