শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ >> মাহফুজ আহমেদ

‘ভালোবাসার প্রহর’ একটি আন্দোলন

মাহফুজ আহমেদ এখন আর শুধু অভিনেতা নন, নির্মাতাও। কিন্তু এখন শিল্পী হিসেবে নিজের দায়বোধের জায়গা থেকে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন দর্শকদের আবার টিভিমুখী করার। গতকাল থেকে তিনি শুরু করেছেন একক নাটক প্রচারের বিশেষ ব্যবস্থা। ‘ভালোবাসার প্রহর’— স্লোগান নিয়ে আরটিভিতে প্রতি শুক্রবার রাতে প্রচার হবে বিরতিহীন নাটক। এ বিষয়ে আজ মাহফুজ আহমেদের ইন্টারভিউ—

শোবিজ প্রতিবেদক

‘ভালোবাসার প্রহর’ একটি আন্দোলন

অভিনেতা, এরপর নির্মাতা। এখন কি পুরোদস্তুর প্রযোজক বলা যায় আপনাকে?

শাব্দিক অর্থে আমাকে প্রযোজক বলা যায়। কিন্তু আমি নিজেকে সে অর্থে দেখি না। সর্বপ্রথম আমি একজন শিল্পী। তাই শিল্পী হিসেবে আমার কিছু দায়িত্ব আছে। দর্শক এখন আর নাটক দেখে না— এ কথাটা ভাবতে আমার খুব খারাপ লাগে। দর্শক আমাদের নাটক দেখত, নাটক নিয়ে গর্ব করত। আমাদের নাটকের সুন্দর একটি ইতিহাসও রয়েছে। তাহলে এ অবস্থা কেন? কারণ একটাই, নাটক আর নাটকের মানুষের হাতে নেই। আবার নাটকের মানুষও চুপ করে পরিস্থিতি দেখছে। কেউ এগিয়ে আসছে না। তাই আমি আমার অবস্থান থেকে এগিয়ে এলাম। দেখি কিছু করা যায় কিনা। দর্শকদের আবার টিভিমুখী করতে চাই।

 

‘ভালোবাসার প্রহর’— বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করুন।

আমাদের দর্শক এখন বিদেশি চ্যানেল দেখে। কী আছে সেখানে? কী এমন ম্যাজিক দেখায় তারা, যা আমরা পারি না। এই উপলব্ধি থেকে ‘ভালোবাসার প্রহর’ শুরু করা। এটা একটা প্রতিবাদ, একটা আন্দোলন। দর্শক বিজ্ঞাপনের ভিড়ে দূরে সরে গেছে। এ বিজ্ঞাপনকে সরিয়ে কীভাবে আমরা নাটককে আবার আগের জায়গায় নিয়ে যেতে পারি, সে জন্যই এ আয়োজন। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আরটিভি কর্তৃপক্ষের কাছে, তারা আমার আকুতি বুঝতে পেরেছেন এবং সাড়া দিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে টাইটেল স্পন্সর জুঁই, কো-স্পন্সর ক্রাউন সিমেন্ট ও অ্যালপেনলিবে।

 

‘ভালোবাসার প্রহর’-এ প্রতি শুক্রবার একটি করে বিরতিহীন একক নাটক প্রচার হবে। তাহলে কি সবগুলোই শুধু প্রেমের নাটক হবে?

হ্যাঁ, সবই প্রেমের নাটক হবে। কিন্তু শুধু মানব-মানবীর প্রেম নয়। প্রেমের যত প্রকার আছে, যত ধরন আছে— আমরা সব দেখাব।

 

কিন্তু বিরতিহীনভাবে নিয়মিত নাটক প্রচার কীভাবে সম্ভব। বাজেটে কি পোষাবে?

উদ্যোগ এবং নিয়ত ঠিক থাকলে সবই সম্ভব। ব্যবসা সবার প্রয়োজন। কিন্তু তার তো একটা মাত্রা থাকতে হবে। গল্পটা মনে আছে! হাঁস সোনার ডিম পারে। একটি করে ডিমে পোষাচ্ছিল না। তাই বেশি ডিমের লোভে হাঁসটিকেই জবাই করে ফেলল। আমরা একটি করে ডিম নিয়েই খুশি থেকে হাঁসটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আমি খুবই খুশি, আমার স্পন্সররা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। জুঁই কর্তৃপক্ষ আমাকে বলল আমরা পপআপ দেব তিন মিনিট সর্বোচ্চ। এত পপআপ প্রয়োজন নেই। আসলে তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল পাঁচ মিনিট। তারা নেমে এলেন তিন মিনিটে। আর ক্রাউন সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তারা এক মিনিটও পপআপ দেখাবেন না, তারা দর্শককে নাটক দেখাতে চান। সব বিজ্ঞাপনদাতা যদি এমনটা চাইত, তবে কী ভালোই না হতো!

 

কিন্তু প্রচার সময় রাত ১১টা ২০ মিনিট। বেশি রাত হয়ে গেল না?

গবেষণা করেই সময়টা নির্বাচন করা হয়েছে। কারণ বিশাল একটা অংশ রাত ১০টার আগে টিভি সেটের সামনে বসে না। মানুষ এখন অনেক ব্যস্ত। আমরা চাই, সব ব্যস্ততা শেষে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে দর্শক একটি ভালো নাটকের অনুভূতি নিয়ে ঘুমাতে যাক।

সর্বশেষ খবর