অভিনয়ের ব্যস্ততা কেমন?
সব বিশেষ দিবসে আসলে আমাদের অভিনয়ের ব্যস্ততা একটু বেড়ে যায়। আর ঈদ হলে তো কথাই নেই। এবারের ঈদেও বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। তার মধ্যে রয়েছে— রেদওয়ান রনির ‘চল সবে ডাইট করি’, রাকেশ বসুর ‘পূর্ণতা, প্রেমার ‘দ্য রেসিপি অব লাভ, পিক্লু চৌধুরীর ‘রাজ কুমার, জোলহাস এর ‘বৃত্ত বন্দি’, অভিজিত রায়ের‘ ধূসর প্লাট ফর্ম, মাহমুদ দিদারের ‘হোয়াইট’।
এ ছাড়া শাহদাত রাসেল, ইমরাউল রাফাত, অনন্য ইমন, অঞ্জন আইচসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের নাটকে অভিনয় করছি।নাটকের সংখ্যা তো অনেক হয়ে গেল। নিজের অভিনীত নাটকগুলো দেখার সুযোগ পান?
আমি সব সময় চেষ্টা করি নিজের অভিনীত নাটকগুলো দেখার। আর দেখার সময় ভাবি, এখনো আমার অনেক কিছু শেখার বাকি আছে। অনেক ভুল-ত্রুটি আমার চোখে পড়ে। আর আমি চেষ্টা করি পরবর্তী সময়ে সেই ভুলগুলো না করার।
নাটকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি সর্ব প্রথম মাথায় রাখেন?
আমি যে কোনো নাটকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে সব সময় স্কিপ্টের মূল্যায়ন করি সব চেয়ে বেশি। আমি নাটকের চিত্রনাট্য হাতে পাওয়ার পর খুব মনোযোগের সঙ্গে তা পড়ি। আমি একটা কফি শপে নিয়মিত যাই। সেখানে কফি খাই আর চিত্রনাট্য পড়ি। এমনও হয়েছে যে সাত-আট ঘণ্টা ধরে আমি শুধু চিত্রনাট্যই পড়েছি।’
১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পেশাগতভাবে ড্রামার ছিলেন। এখন কি অবস্থা গানের?
গানটা একান্তই আমার শখের বিষয়। আমি মনে করি গানে ওই জায়গাটা আমার নয়। বর্তমানে আমি সেখানে দাঁড়িয়ে আছি। আমার মনে হয় এটাই আমার আসল জায়গা। আর অভিনয়ের এই জায়গাটাকে পোক্ত করার জন্য আমার যা যা করা প্রয়োজন আমি করব।
এরই মধ্যে ‘জাগো’ ও ‘রংধনু’ শিরোনামের দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আপনি। চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
ভালো গল্প পেলে কেন করব না। কিন্তু নাটকে আমি যে রকম সাফল্য পাচ্ছি, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে যদি ওই রকম সাফল্য না পাই, তবে আর চলচ্চিত্রে কাজ করব না।