ঈদ কেমন কাটালেন?
পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো কেটেছে এবারের ঈদ। এই ব্যস্ত শহরে অনেকের সঙ্গে আমাদের দেখা হয় না। কিন্তু ঈদে চেষ্টা করি সবাইকে নিয়ে ঈদ পালন করতে।
ঈদে নাটকের শুটিংয়ের চাপ কেমন ছিল?
ঈদ এলে কাজের চাপ একটু বেড়ে যায়। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত শুটিং করতে হয়েছে। ঈদের আগে এ রকম চাপ থাকেই। তবে শুধু ঈদের নাটকই নয়, নিয়মিত ধারাবাহিকগুলো করতে হয়েছে। তাই একটু বাড়তি চাপ ছিল।
ঈদের নাটক দেখা হয়?
আমি সব সময় চেষ্টা করি ঈদের নাটকগুলো দেখার। কিন্তু যে ইচ্ছে নিয়ে নাটক দেখতে বসি কিছুক্ষণের মধ্যে সেই ইচ্ছে মরে যায়। তার কারণ হচ্ছে, কিছু কিছু নাটকে বাংলা ভাষার অপব্যবহার, জোর করে হাসানোর অপচেষ্টা, ওভার অ্যাক্টিং নানা কারণে নাটক আর দেখতে ইচ্ছে করে না। তাই বলে যে ঈদে ভালো নাটক হয়নি তা কিন্তু নয়। এবারের ঈদে বেশ কয়েকজন নতুন পরিচালকের কাজ দেখেছি। তারা অনেক ভালো করেছে।
এ অবস্থার পরিবর্তনে করণীয় কী?
আমি মনে করি, এটা চ্যানেলের ব্যর্থতা। চ্যানেল যদি চায়, তাহলে যেকোনো সময় এ অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। তাদের বুঝতে হবে, দিন দিন আমাদের দর্শক হারিয়ে যাচ্ছে। চ্যানেল খারাপ নাটক প্রচার করলে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নেবেই। চ্যানেল যেহেতু নাটকটি প্রচার করে এবং তারা নাটকটি কিনে, সে ক্ষেত্রে তাদের তো উচিত নাটকটির মান যাচাই করে কেনা। যখন মান যাচাই করবে, তখন মানহীন নাটকগুলো আর প্রচার হবে না।
নাটকে নতুনরা কেমন করছে?
নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রী ও পরিচালকরা অনেক ভালো করছে। তাদের অনেকের অভিনয় আমার ভালো লাগে।
ঈদে সিনিয়র শিল্পীদের কদর কম থাকে।
এ বিষয়টি নিয়েও ভালো বলতে পারবে টিভি চ্যানেল ও এজেন্সি মালিকরা। কিছু এজেন্সি আকাশ থেকে পড়েছে, তারা বৃদ্ধ শিল্পীদের বাদ দিয়ে নাটক করতে উৎসাহী। তাদের ধারণা, আমাদের জগতে ও সমাজে কোনো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নেই। শুধু তরুণ-তরুণীরা আছে। এ সমাজে তাদেরই বিচরণ। তারা ডিরেক্টরদের বলে দেয়, বুড়া মানুষদের নাটকে নেওয়ার দরকার নেই।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কী বলে মনে হয় আপনার?
আমরা যারা নির্মাতা, তাদের হাতে আর নাটক নেই। নাটক চলে গেছে বেনিয়াদের হাতে। তারা তাদের ইচ্ছামতো নাটক বানাচ্ছে। তাদের হাত থেকে সরে সত্যিকারের নির্মাতা এবং চ্যানেলের হাতে পড়লেই এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।