নিখোঁজ নন, স্বজ্ঞানে প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলের বাসায় গত মাস খানেক ধরে ছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা, নির্মাতা ও নাট্যকার ফখরুল হাসান বৈরাগী। যদিও গুঞ্জন উঠেছিল এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তার কোনো সন্ধান মিলছিল না। তার খোঁজ জানতেন না আত্মীয়-স্বজন। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে এসে সাক্ষাতের পর তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি স্বজ্ঞানে ছেলের বাসায় অবস্থান নিয়েছিলেন। রাজিয়া হাসানকে কথিত স্ত্রী হিসেবে দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘রাজিয়া আমার স্ত্রী নয়। তার সঙ্গে লিভ টুগেদারের সম্পর্ক। তার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আমি ৭ আগস্ট প্রথম স্ত্রীর ছেলের বাসায় গিয়ে উঠি। সে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে আমার নিখোঁজের গুজব ছড়িয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কলাবাগান থানায় নিজে এসে হাজির হয়েছি।’ ফখরুল হাসান বৈরাগী বলেন, ‘৭ আগস্ট, বাসার দারোয়ানকে বাসার চাবি দিয়ে এক কাপড়ে বেরিয়ে যাই। উঠি কেরানীগঞ্জের আঁটি বাজারে প্রথম স্ত্রীর ছেলের বাসায়।’
তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর রাজিয়া হাসানের সঙ্গে থাকতাম। দীর্ঘদিন অতিবাহিত সময়ে সম্প্রতি বনিবনা হচ্ছিল না। সে কারণে অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাই। বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত, সম্মানহানি হতে পারে ভেবেই বিয়ষটি কাউকে জানাইনি। কারও সঙ্গে যোগাযোগও করিনি। কেরানীগঞ্জে দুই ছেলে রাশেদুল হাসান ও রকিবুল হাসান একসঙ্গে থাকে। ওদের বাসায় গিয়ে উঠি।’ এর আগে গতকাল সকালে একটি অনলাইনের কাছে প্রেরিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, তিনি সুস্থ ও নিরাপদ স্থানে আছেন। তার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
