বাংলাদেশ সংগীত অঙ্গনের জীবিত কিংবদন্তি রুনা লায়লা। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই সুরসম্রাজ্ঞী শনিবার লন্ডনের দ্যা সিটি পেভিলিয়ন মাতালেন তার গান দিয়ে। শিল্পীর সংগীত জীবনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তার এই একক সংগীত সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাঙালি। যাদের কেউ কেউ এই শিল্পীর সঙ্গে একই মঞ্চে উঠে নেচেছেন, গলা মিলিয়েছেন প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কয়েকজন শিশুশিল্পী কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করে। তারপরে সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হলভর্তি দর্শক মাতিয়ে রাখেন সংগীত জগতে দাপিয়ে বেড়ানো কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা।
‘শিল্পী আমি’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম’, ‘সাধের লাউ’, ‘দমাদম মাসকালান্দার’, ‘দে দে পেয়ার দে’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম’, ‘যখন থামবে কোলাহল’ ও ‘বাড়ির মানুষ কয় আমায় পাগল করেছে’র মতো জনপ্রিয় গানগুলো যখন পরিবেশন করছিলেন তখন হলভর্তি দর্শকও হয়ে উঠেছিলেন একেকজন শিল্পী। এ সময় কোনো কোনো দর্শককে স্টেজে নিজেই ডেকে নেন রুনা। তারা কিংবদন্তি এই শিল্পীর গানের সঙ্গে স্টেজে নেচে বেড়ান। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠানটি। শিল্পী নিজেও একসময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।রুনা লায়লা এখন পর্যন্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয়বার। অর্জন করেছেন স্বাধীনতা পদক, ভারতের সায়গল পুরস্কার, দাদা সাহেব ফালকে জুরি পদক, পাকিস্তানের ক্রিটিকস পুরস্কার, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিক পুরস্কারসহ (স্বর্ণপদক) আরও অনেক পুরস্কার।