বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
আলাপন...

রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না

প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম। গানের মাধ্যমে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সব প্রজন্মের হৃদয়ে পৌঁছে দেওয়ার অবিরত চেষ্টায় রত তিনি। এবার নতুন প্রজন্মের জন্য খুলছেন একাডেমি। এসব বিষয়ে আজ তার সঙ্গে আলাপচারিতা—

আলাউদ্দীন মাজিদ

রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না

রবীন্দ্রসংগীতকে ঘিরে বর্তমানে ব্যস্ততা কেমন?

আমার সংগীতবিষয়ক সংগঠন উত্তরণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত জুলাই মাসে। প্রতিবছর বিশাল আয়োজনে দিনটি পালন করা হয়। এবার ঈদের কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন পেছাতে হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর দিনটি পালন করব। তাই এর প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। তা ছাড়া গান শেখানো ও নতুন সংগীত একাডেমি খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 

রবীন্দ্রসংগীত আপনার জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছে?

রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না। অন্য বড় মাপের কবি যারা আছেন সবাই আমাদের সত্ত্বাজুড়ে রয়েছেন। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবেদন সবার উপরে। হাসি-কান্না, আনন্দ-সুখে আমাদের প্রভাবিত করেন তিনি। চিন্তা-চেতনা ও কল্পনায় গভীর প্রভাব ফেলেন কবি। এমনকি কোন অনুষ্ঠানে কী পোশাক পরব তাও ভাবান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমার জীবনে তার প্রভাব অপরিসীম।

 

বর্তমান প্রজন্ম কতটা সঠিকভাবে রবীন্দ্রচর্চা করছে...

বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই রবীন্দ্রসংগীত গাইছে, গাইবার চেষ্টা করছে। কিন্তু সহজে খ্যাতি পাওয়ার মানসিকতা অনেককে অকালে ঝরিয়ে দিচ্ছে। আমাদের সময় শেখার চেষ্টা ছিল বেশি। এখন এই আগ্রহ কমে গেছে। পরিশ্রমের মানসিকতাও নেই অনেকের মধ্যে। ফলে শুরুতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্মের রবীন্দ্রচর্চা। যথাযথ রবীন্দ্রচর্চার জন্য প্রয়োজন রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান অর্জন। এ ক্ষেত্রে আমরা তাদের গাইড করতে পারি। আর এ জন্যই আমার এই একাডেমি খোলার ভাবনা। রবীন্দ্র বা নজরুল অথবা অন্য যে কোনো বড় মাপের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ ছাড়া তাদের নিয়ে এগোনো সম্ভব নয়। বিষয়টি নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে হবে। তাদের বলতে হবে এক দিন দুই দিন টিভিতে গান গেয়ে স্থায়িত্ব পাওয়া যায় না। এর জন্য বিষয়টির গভীরে পৌঁছানো দরকার। আর এ কাজটি আমরা যদি যথার্থভাবে পালন করতে পারি তাহলে নতুন প্রজন্ম অবশ্যই যথাযথভাবে রবীন্দ্রচর্চায় আত্মনিয়োগ করতে পারবে। তাদের হৃদয়ে রবীন্দ্র আবেদন স্থায়ী হবে।

 

রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে আগামী পরিকল্পনা কী?

নতুন প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রসংগীতকে যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে একটি সংগীত একাডেমি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভালো জায়গা খুঁজছি। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারিতেই একাডেমিটি চালু করব। এখানে শুধু রবীন্দ্রসংগীত চর্চা নয়, নাচ, ছবি আঁকা, ইয়োগা করানোসহ নতুন প্রজন্মের শারীরিক মানসিক অবস্থার বিকাশে সবকিছুই করা হবে।

সর্বশেষ খবর