দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
অভূতপর্ব। সবাই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে আপনার প্রস্তুতি কেমন ছিল?ভালো ছিল। অভিনয় কর্মশালা করা হয়েছিল। পরিচালক যত্নসহকারে সবাইকে চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুত করেছেন।
প্রথম নেওয়া টেক কি ওকে হয়েছিল?
নাহ! প্রথম যখন ক্যামেরায় শর্ট দেই তখন একটু ঝামেলায় পড়েছিলাম। যখন রি-শুট হলো অমিতাভ ভাই বললেন, সুপার! সুপার! তখনও বুঝি নাই কী হয়েছে। পরে বুঝতে পারলাম শর্টটি ওকে হয়েছে। প্রথম অবস্থায় তো নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু তার উৎসাহ আমাকে ভালোভাবে চলচ্চিত্রটি শেষ করতে সাহায্য করেছে।
নির্মাতা হিসেবে অমিতাভ রেজাকে কেমন লেগেছে?
অসাধারণ। এক কথায় তিনি একজন ম্যাজিশিয়ান।
আয়নাবাজির পোস্টার নকল নিয়ে তো গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল—
আমি যতদূর জানি—তেমন কিছুই হয়নি। আর রেফারেন্স তো সব সময় থাকে, নিতে হয়। হুবহু তো কোনো কিছুর নকলও করা যায় না।
চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে কিছু বিশেষ দৃশ্য করেছেন। অনুভূতি কেমন ছিল?
চলচ্চিত্রটি নিয়ে অনেক কৌতূহল ছিল—কেমন হবে। আমি আমার মায়ের সঙ্গেই কিন্তু চলচ্চিত্রটি দেখেছি। দৃষ্টিকটু কিছুই লাগেনি। কারণ দৃশ্যটি গল্পের প্রয়োজনের সঙ্গে মিলে যায়। তেমন আরোপিত কিছুই মনে হয়নি।
নায়িকা বা অভিনেত্রী হিসেবে বড় পর্দায় নিজেকে দেখে কেমন লেগেছে?
সত্যি করে বলতে গেলে, আমি একটা গল্পকে দেখেছি। সেখানে নায়িকা বা অভিনেত্রীকে দেখিনি। আমি আমাকে দেখিনি। পুরোটাই দেখেছি একটা অসামান্য গল্প হিসেবে।
আগামীতে কেমন গল্প আর চরিত্র নিয়ে বড় পর্দায় আসার ইচ্ছে রয়েছে?
ভালো যে কোনো ছবি হলেই দেখা যাবে। ভালো গল্প আর ভালো চরিত্র পেলে অবশ্যই করব। আর যদি আয়নাবাজির মতো এমন টিম থাকে—তাহলে তো কথাই নেই। নিশ্চয় অসাধারণ গল্প আর চরিত্র নিয়ে হাজির হব।