মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অপুর ঘরে বুবলী

আলাউদ্দীন মাজিদ

অপুর ঘরে বুবলী

বুবলী, অপু বিশ্বাস

অপু বিশ্বাস আড়ালে। এটি অবশ্যই পুরনো খবর। আড়াল হওয়ার আগে অপুর চুক্তি করা ছবিগুলোয় অভিষেক ঘটেছে একজন নতুন নায়িকার। এটিও নতুন কোনো খবর নয়। গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘বসগিরি’ আর ‘শুটার’ ইতিমধ্যে দর্শক দেখে ফেলেছেন। এ দুটি ছিল অপুর চুক্তিবদ্ধ হওয়া শেষ ছবি। অপুকে না পেয়ে ছবিগুলোর নির্মাতা এতে অভিষেক ঘটান ছোট পর্দার সংবাদ পাঠক বুবলীকে। ছবি দুটিতে অপু কাজ শুরুই করেননি। তাই এতে অপুকে না পেলে নতুন নায়িকার অভিষেক ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হচ্ছে অপুর অসমাপ্ত ছবিগুলোয়ও বুবলীর যোগ হওয়া। এমনই একটি ছবি কালাম কায়সারের ‘মা’। এটিতে অপু সবে কাজ শুরু করেন। তারপর লাপাত্তা। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও তার হদিস না পেয়ে নির্মাতা খুঁজলেন নতুন নায়িকা। এসে গেলেন বুবলী। মানে অপুর ঘর দখল করে চলেছেন বুবলী। বলাবাহুল্য, অপুর অসমাপ্ত সবকটি ছবির নায়কই শাকিব খান। এ কারণে অনেকের কথায় শাকিব ভালোবেসেই বুবলীকে অপুর ছবিগুলোয় চুক্তিবদ্ধ করাচ্ছেন। আর বুবলীও হাতে শাকিব আর নিজের নামে উল্কি লেখে শাকিবের প্রতি ভালোবাসার প্রতিদান দিচ্ছেন। সম্প্রতি বুবলী নিজের বাম হাতে একটি ট্যাটু করিয়েছেন। সেখানে লেখা আছে ‘এসবি’। বুবলীর হাতের এই ট্যাটুটি নিয়ে সিনেপাড়ায় নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ট্যাটুতে প্রমাণ হয় বুবলী শাকিবের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। ভালোবাসার স্বীকৃতি হিসেবেই বুবলী তার হাতে এই ট্যাটুটি করিয়েছেন। বুবলী বলেন, এটা আমার নামের প্রথম দুই অক্ষর। অনেকেই না জেনে এমন মন্তব্য করছেন। দর্শকরা বলছেন, অপুর ফেলে যাওয়া ছবিতে শুধু ববলী কেন? আর কোনো নায়িকা কি নেই। এতে তারা অন্যরকম গন্ধও খুঁজতে শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট নির্মাতার ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতোই জবাব, ‘বুবলীকে দর্শক গ্রহণ করে ফেলেছেন। এখন আবার নতুন নায়িকা খুঁজতে গেলে কাঠখড় পোড়াতে হবে বেশি। তাই বুবলীই সমাধান’। নির্মাতার কথায়, দর্শকরা নাকি খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তারা বলছেন, অপুর ঘর অনেক আগেই দখল করে বড় পর্দায় এসেছেন বুবলী। এবার একে একে তার ফেলে যাওয়া ছবিগুলোও কুড়িয়ে নিচ্ছেন তিনি। তাহলে কী অপু হতে চান বুবলী? বুবলীকে নিয়ে এত কথার পরও কোনো কথা বলেননি তিনি। এমন কথাও কখনো বলেন যে, আমি অপু হতে চাই। আর তিনি নিজে চেয়ে কখনো অপুর ছবিতে কাজ করতে আসেননি। চলচ্চিত্রকাররা বলছেন, তাহলে বুবলীকে দখলের অভিযোগে কেন অভিযুক্ত করা হচ্ছে। তারপরও দুর্জনের মুখ বন্ধ থাকেনি। তাদের কথায়, বুবলী নিজের ইচ্ছায় অপুর ছবি দখল করেননি ঠিক, কিন্তু তাকে তো এই কাজে কেউ প্ররোচিত করছে। বুবলী তো একেবারে বাচ্চা মেয়ে নয় যে তাকে বলা হলো আর তিনি করে ফেললেন। ‘লোকে কী বলবে’ বা ‘ব্যাপারটি মোটেও দৃষ্টিনন্দন নয়’ এমন সাতপাঁচ ভাবা তার উচিত ছিল। চলচ্চিত্রকাররা বলছেন, তর্ক করলে কথা বাড়ে। কথার লতাপাতা গজায়। সেদিকে না গিয়ে বিষয়টিকে পজেটিভভাবে দেখা উচিত। অপু নেই। চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকটও রয়েছে। এ অবস্থায় অপুর ছবিতে হলেও অভিষিক্ত হয়ে বুবলী যদি চলচ্চিত্রের নতুন নায়িকা হিসেবে দাঁড়িয়ে যান তাহলে অসুবিধা কোথায়? আরেকজন নতুন মুখ পেয়ে দর্শক-নির্মাতারা তো অন্তত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর