শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নির্বাচনী উত্তাপে সরগরম এফডিসি

আলাউদ্দীন মাজিদ

নির্বাচনী উত্তাপে সরগরম এফডিসি

এফডিসিতে চলচ্চিত্রের কাজ হয় না বললেই চলে। তাই এখানে ভিড়-বাট্টা কম। অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়েছে এফডিসি। এটিই এখন প্রতিষ্ঠানটির চিরচেনা চেহারা। মাঝে-মধ্যে এই নীরবতা ভাঙে নানা উৎসবকে ঘিরে। নির্বাচনও একটি উৎসবের মতো। তাই নির্বাচন এলে প্রাণ ফিরে পায় এফডিসি। কড়ইতলা, তালতলা, ক্যান্টিন, ঝরনা স্পটসহ প্রতিটি অঙ্গন সরব হয়ে উঠে প্রার্থী আর ভোটারদের পদচারণায়। বলতে গেলে কোলাহল মুখর হয়ে উঠে নির্জীব এফডিসি। এখনো হয়েছে তাই। চলচ্চিত্র পরিচালক আর শিল্পী সমিতির নির্বাচন আসন্ন। আর এতেই শীতের আগমনী বার্তাকে ম্লান করে দিয়ে এফডিসিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচন।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে পরিচালক সমিতির দ্বি-বার্ষিক [২০১৭-১৮] নির্বাচন। ইতিমধ্যে বেশকিছু প্যানেলের নাম প্রচার হচ্ছে। আর সবই হচ্ছে অনানুষ্ঠানিকভাবে। আমজাদ হোসেন আর জাকির হোসেন রাজু মৌখিকভাবে প্যানেলের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি সোহানুর রহমান সোহান ও রায়হান মুজিব প্যানেল দেবেন বলে ঘোষণা এসেছে। বর্তমান মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার এবার সভাপতি প্রার্থী হবেন বলে জানা গেলেও তার মহাসচিব প্রার্থী কে হচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া আরও অনেকের নাম আসছে নানাভাবে। এসব নাম অসমর্থিত হলেও মনোনয়নপত্র উত্তোলন শুরুর মধ্য দিয়ে পর্দা উঠবে প্রার্থীদের। পরিচালক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে তিন সদস্যের নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান হলেন হারুনর রশিদ। অন্য সদস্যরা হলেন শফিকুর রহমান ও বিএইচ নিশান। নির্বাচনী তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর ভোটার তালিকা সংশোধন, ৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল ৮ ডিসেম্বর, খসড়া তালিকা প্রকাশ ১০ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১১ ডিসেম্বর।

অন্যদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারিতে। বেশ লম্বা সময় হাতে থাকলেও প্যানেল গঠনের দৌড়ঝাঁপ থেমে নেই। বড় রকমের আওয়াজ দিয়ে মাঠে নেমেছে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল। প্রতিদিন তারা ছুটছেন সিনিয়র নির্মাতাদের দোয়া নিতে। সিনিয়ররা তাদের সমর্থনও জানাচ্ছেন ব্যাপকভাবে। মিশা সওদাগর একজন সজ্জন মানুষ এবং তুখোড় অভিনেতা। কয়েক যুগ ধরে চলচ্চিত্রে খলনায়ক সংকট উত্তরণে একাই ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তিনি। ইতিপূর্বে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। আর চলচ্চিত্রের নানা সংকট উত্তরণে নিরলস লড়াই করে যাচ্ছেন জায়েদ খান। তাই এই প্যানেল শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস সিনিয়র থেকে সাধারণ শিল্পীদের। পাশাপাশি রয়েছে ওমর সানী-ফেরদৌস প্যানেল। তারাও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। চলচ্চিত্রকারদের কথায়, দুই বাংলায় যখন ছবি আর শিল্পী সংকট তখন দুই জায়গাতেই সমান ব্যস্ততায় কাজ করে চলচ্চিত্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন ফেরদৌস। তাই নির্বাচনে তার ভূমিকাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সভাপতি পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসানের নামও শোনা যাচ্ছে।

তবে শেষ পর্যন্ত কে প্রার্থী হবেন আর কার ভাগ্যে জুটবে বিজয়ের মালা তা দেখতে বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে সবাইকে।

সর্বশেষ খবর