শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঘর ভাঙাগড়ার খেলায় তারকারা

ঘর ভাঙাগড়ার খেলায় তারকারা

তারকাদের সংসার যেন তাসের ঘর। তাদের বিয়ের সঙ্গে ডিভোর্স শব্দটি অনেকটা অঙ্গাঙ্গিভাবেই জড়িয়ে থাকে। বেশির ভাগ তারকাই বিয়ের পর অল্প সময়ে ডিভোর্সের পথে হাঁটেন। তারকাদের বিয়ে আর বিচ্ছেদের কথা তুলে ধরেছেন— আলাউদ্দীন মাজিদ

 

সালমা

লালনকন্যা খ্যাত সালমা আর সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। ২০ নভেম্বর  তালাক সম্পন্ন হয়। দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছেন সালমা। ২০১১ সালে সালমা ও দিনাজপুরের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের পারিবারিকভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। তাদের সংসারে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সালমা ও শিবলীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়। সালমার গান-বাজনার কারণে মূলত তাদের সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। সালমা  বলেন, অনেক দিন চেষ্টা করেছি সংসার টিকিয়ে রাখার। পারিনি।

 

সারিকা

নভেম্বরেই স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় সারিকার। স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই মনোমালিন্য চলছিল। মিডিয়ায় কাজ করা নিয়ে এ মনোমালিন্য। ২০০৬ সালে মডেলিং আর ২০১০ সালে অভিনয়ে। তারপর ২০১৪ সালের আগস্টে ব্যবসায়ী মাহিম করিমের সঙ্গে হঠাৎ করেই বিয়ে সেরেছিলেন সারিকা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সারিকার কোলজুড়ে আসে এক কন্যাসন্তান।

 

শিমুল-নাদিয়া

২০১৬ সালে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন নাঈম ও নাদিয়া। নাঈমের এটি প্রথম বিয়ে হলেও নাদিয়ার ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে দীর্ঘদিন প্রেম করে ২০০৮ সালে অভিনেতা শিমুলকে বিয়ে করেছিলেন নাদিয়া। সাত বছর সংসার করার পর ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয় তাদের।

 

আরেফিন রুমি

প্রেম করে অনন্যাকে বিয়ে করেছিলেন আরেফিন রুমি। বিয়ের পর এই দম্পতির ঘরে এক পুত্রসন্তান এলেও তাদের সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আমেরিকান প্রবাসী কামরুন্নেসার সঙ্গে পরকীয়া অতঃপর বিয়ের জের ধরে অনন্যার সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যায় রুমির। কামরুন্নেসাকে ঘরে তুললে কোলজুড়েও আসে এক পুত্রসন্তান। নানা অভিযোগ আর নাটকীয়তার পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কামরুন্নেসার যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেন আরেফিন রুমি।

 

ন্যান্সি

গায়িকা ন্যান্সির সংসার ভাঙার ঘটনাটি তার অসংখ্য ভক্তকে আহত করে। কারণ একজন জনপ্রিয় গায়িকা হলেও ন্যান্সি শান্তশিষ্ট ও সংসারী মেয়ে বলেই সবাই জানতেন। ন্যান্সির আজকের অবস্থানে পৌঁছার পেছনে তার সাবেক স্বামী রুবেলের আছে বিশাল ভূমিকা। 

 

সোহানা সাবা ও মুরাদ পারভেজ

প্রেম করেই বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন টিভি অভিনেত্রী সোহানা সাবা ও নির্মাতা মুরাদ পারভেজ। এ দম্পতির ঘরে এক পুত্রসন্তান থাকলেও ২৭ এপ্রিল থেকেই আলাদা থেকেছেন। এরপর চলতি বছরের মার্চে এসে আইনি প্রক্রিয়ায় একে অপরকে ডিভোর্স দেন।

 

হৃদয়-সুজানা

ভালোবেসেই বিয়ে করেন হৃদয় খান ও সুজানা। গত বছরের ১ আগস্ট থেকে একই ছাদের নিচে বসবাস করা এই তারকা দম্পতির বিয়ে এক বছরও টিকল না। কারণ আর কিছুই নয়, পারস্পরিক সমঝোতা না হওয়া। এমনটাই জানিয়েছেন সুজানা। এ প্রসঙ্গে সুজানা বলেন, ‘প্রথমদিকে ও আমাকে ভালোবাসলেও পরে বুঝেছি তার ভালোবাসা ছিল মুখে মুখে। ওর সঙ্গে আমার মানসিক মিল কখনই হয়নি। সংসার করার জন্য ওর আরও ম্যাচিউরিটি দরকার।

 

ঘর ভাঙা আরও তারকা

অমিতাভ রেজার সঙ্গে ঘর করতে পারেননি মডেল ও অভিনেত্রী জেনি। নির্মাতা এজাজ মুন্না আর তাজিন আহমেদের সংসারও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। রবি চৌধুরী আর ডলি সায়ন্তনীর বাঁধভাঙা প্রেমের উচ্ছ্বাস ফুরিয়ে যায় সংসারে পা রেখে। জয়া আহসানও তার স্বামী ফয়সালকে অসুস্থ অবস্থায় ডিভোর্স  দেন। অহনা, মিমো, মোনালিসা, অপি করিমসহ আরও অনেকের ঘর ভেঙেছে। রুনা লায়লার সঙ্গে আলমগীরের প্রেমের কারণেই ভেঙে গিয়েছিল আলমগীর ও খোশনুরের সংসার। আর নায়ক আলমগীর এখনো বাস করছেন রুনা লায়লাকে নিয়ে। এ তালিকা থেকে বাদ গেলেন না প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ও সুবর্ণা মুস্তাফাও। বদরুল আনাম সৌদের সঙ্গে সুবর্ণার প্রেমকেই অনেকে দেখছেন তাদের ঘর ভাঙার কারণ হিসেবে। এ তালিকায় আরও আছেন শমী কায়সার-রিংগো, গাজী রাকায়েত-আফসানা মিমি, সোহেল আরমান-অভিনেত্রী তারিন, নকীব খান-সামিনা চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ-মডেল অভিনেত্রী রুনা, ইলিয়াস কাঞ্চন-নায়িকা দিতি। আরেকটি আলোচিত বিচ্ছেদ হচ্ছে ব্যান্ড তারকা জেমস এবং রথির সংসারের ভাঙন। এর পেছনে দোষ জেমসেরই ছিল বেশি। সে সময়ে জেমস মজে গিয়েছিলেন প্রবাসী এক তরুণীর প্রেমে। আর এতেই ভেঙে যায় তাদের সংসার। এ তালিকায় আরও আছেন রবি চৌধুরী ও ডলি সায়ন্তীও। বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজা ও জেনি বিয়ে করেন ভালোবেসে। কিন্তু তাদের সংসারও বেশিদিন টিকেনি। পারিবারিকভাবেই প্রবাসী ফাইয়াজকে বিয়ে করেছিলেন মোনালিসা। কিন্তু বেশিদিন টিকেনি তাদের সংসার। এ প্রসঙ্গে মোনালিসা বলেন, ‘ফাইয়াজ প্রথমদিকে ভালো থাকলেও পরে ওর বিরূপ আচরণে আমি অতিষ্ঠ হয়ে উঠি। ওর সঙ্গে আর বনিবনা হচ্ছিল না, তাই আলাদা থাকছি।’

প্রেম ও বিয়ের মধ্য দিয়ে তিন্নি-হিল্লোল গড়ে তুলেছিলেন সংসার। তাদের সংসারে চাঁদের আলো হয়ে আসে ছোট্ট মেয়ে ওয়ারিশা। অথচ ঘরে স্বামী-সন্তান রেখে তিন্নি একটার পর একটা সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত ডিভোর্সের মধ্য দিয়ে তাদের সংসার টুকরো টুকরো হয়ে যায়। হিল্লোলও অবশ্য কম যাননি। ডিভোর্সের আগেই আরেক ডিভোর্সি নওশীনকে তিনি কাছে টেনে নেন।

সর্বশেষ খবর