আট বছর বয়সেই অভিনয়ে যুক্ত হন মায়া ঘোষ। দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। টিভি নাটক আর মঞ্চেও ছিল তার সরব পদচারণা। মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতার শরণার্থী ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের রেঁধে খাওয়ানোসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। ্বর্তমানে তিনি অসুস্থ অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কখনো সার্টিফিকেট চাইনি। তাই মুক্তিযোদ্ধা হয়েও সরকারি সহযোগিতা বঞ্চিত আমি। ১৯৮১ সালে ‘পাতাল বিজয়’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু। পাশাপাশি টিভি নাটক ও মঞ্চে অভিনয়। ২০০১ সালে ক্যানসার ধরা পড়ে। একই সঙ্গে কিডনি, লিভার, পায়ের সমস্যাসহ নানা রোগব্যাধি বাসা বাঁধে শরীরে। শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মায়া ঘোষ বলেন, এই দুঃসময়ে অভিনেতা ডি এ তায়েব আর শিল্পী ঐক্যজোটের আহ্বায়ক নাট্য নির্মাতা জি এম সৈকত ত্রাণকর্তার মতো আমার পাশে এসে দাঁড়ান। তাদের নাটকে অভিনয়সহ নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। তাদেরই সহায়তায় গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেন। এই টাকার মধ্যে ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা শোধ করি বকেয়া ঘর ভাড়া বাবদ। বাকি টাকার বড় অংশই শেষ হয়ে যায় ধারদেনা শোধ করতে গিয়ে। মায়া জানান, পায়ের সমস্যার কারণে হাঁটাচলা করতে পারেন না তিনি। একই সঙ্গে পুরনো জটিল রোগ তো আছেই। গত সপ্তাহে জি এম সৈকত তাকে অভিনয় করালেন তার জনপ্রিয় ‘ডিবি’ ধারাবাহিকে। মায়া বলেন, ডি এ তায়েব এবং জি এম সৈকত আমার মতো অসহায় দুস্থ মানুষের আশা-ভরসা। তারা না থাকলে চারদিকে শুধুই অন্ধকার দেখতাম। অভাব-অনটন আর রোগব্যাধিতে জর্জরিত মায়া ঘোষের দুঃসহ জীবন কাটছে এখন আফতাবনগরে ভাড়া বাড়ির চার দেয়ালের মাঝে।