বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
বিজয়ের আলাপন

বিজয় আমার গর্ব, আমার অহংকার

পান্থ আফজাল

বিজয় আমার গর্ব, আমার অহংকার

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম। আগামীকাল তার পরিচালনা আর পরিকল্পনায় আয়োজিত হতে যাচ্ছে গীতি আলেখ্য ‘চলার পথে’। বিশিষ্ট এই রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আজকের আলাপন—

 

গীতি আলেখ্য ‘চলার পথে’র ভাবনা নিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা কেন হলো?

বরাবরই আমি রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কিছু করতে চাই। আমার ধ্যান-জ্ঞান সবই রবীন্দ্রনাথ জুড়েই। সেই প্রয়াসেই উত্তরায়ণের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে গীতি আলেখ্য ‘চলার পথে’র আয়োজনের পরিকল্পনা করি।

‘চলার পথে’ ভাবনা রবীন্দ্রনাথের কোন বিষয়কে উপলক্ষ্য করে?

রবীন্দ্রনাথ ভ্রমণে থাকাকালীন সময়ে কিছু কবিতা, গান লিখেছিলেন। সেই সময়ে তিনি নৌকায়, ট্রেনে, জাহাজে বা পথে ভ্রমণকালীন সময়ে যা লিখেছিলেন সেগুলোকে নিয়েই আমি আয়োজন সাজিয়েছি। 

গীতি আলেখ্য চলার পথে নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।

‘চলার পথে’র গবেষণা ও গ্রন্থনা করেছি আমি। সহ-পরিচালনায় আছেন উত্তরায়ণ পরিবারের আরেক সহযাত্রী হিমাদ্রী শেখর। কলকাতা থেকে আসবেন ৪ জন যন্ত্রসংগীত। তারা হলেন-সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিপ্লব মণ্ডল, সন্দীপন গাঙ্গুলী এবং সৌম্য জ্যোতি ঘোষ। অন্যদিকে বাংলাদেশের শিল্পী হিসেবে রয়েছেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদ, নাজিম উদ্দিন রাজু এবং নাসিরুল হক খোকন।

কয়টি কবিতা নিয়ে চলার পথের ভাবনা সাজিয়েছেন?

রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণবিষয়ক ২টি কবিতা রয়েছে। একটি তিনি আর্জেন্টিনায় যাওয়ার পথে রচনা করেছিলেন। কবিতার নাম ‘আমার সুখ’। অন্যটি তিনি কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে লিখেছিলেন।

সামনে আপনার নতুন কোনো পরিকল্পনা?

ইচ্ছা রয়েছে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে একাডেমি করার। সুবিধা মতো স্থান পাচ্ছি না। স্থান খোঁজা হচ্ছে। বনানীতেই করার ইচ্ছা রয়েছে। কথাবার্তা চলছে।

এই বিজয় দিবসে আপনি কী কী কাজে ব্যস্ত রয়েছেন?

গীতি আলেখ্য চলার পথে করছি। এ ছাড়াও ১৬ ডিসেম্বর আমি এবং সাদী মহম্মদ কলকাতায় গান গাইতে যাব।

মহান মুক্তিযুদ্ধের কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?

আসলে আমি তখন অনেক ছোট ছিলাম। তেমনভাবে কোনো কিছুই মনে নেই। আমি  সেই সময় কলকাতায় ছিলাম। মনে আছে, সন্ধ্যা হলেই ব্লাকআউট হয়ে যেত। সবাই রেডিও খুলে বসে থাকত। দেশে কী হচ্ছে, সামনে কী হবে-সেসব জানার জন্য। অনুভূতির মতো তখন আমার বয়স ছিল না। শুধু জানতাম, তখন আমার আর পড়তে হবে না। চারদিকে সেই সময় অন্ধকার হয়ে যেত।

স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় নিয়ে আপনার অনুভূতি কেমন?

আসলে এই অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না। আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই। বিজয় আমার গর্ব, আমার অহংকার।

সর্বশেষ খবর