বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
আলাপন...

দুধ খেয়ে দৃশ্যটি করেছি

শোবিজ প্রতিবেদক

দুধ খেয়ে দৃশ্যটি করেছি

রাতশ্রী দত্ত। উড়িষ্যার নায়িকা হলেও তিনি কলকাতারই মেয়ে।’তুখোড়’ ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।  ছবিটি সারা দেশে মুক্তি পাবে ২০ জানুয়ারি। ’তুখোড়’ ছবি ও তার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আজকের আলাপন

 

’তুখোড়’চলচ্চিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এটি অবশ্য আমার বাংলা ভাষাতেই প্রথম ছবি। অনেক বেশি পারিবারিক আবহে কাজ করেছি। আমার চরিত্রে অনেক  বৈচিত্র্যতা আছে।

 

ছবিতে কাজ করতে রাজি হওয়ার পেছনের গল্প জানতে চাই।

আমি মূলত কলকাতায় মডেলিং করি। একটি চলচ্চিত্র করেছিলাম, এখনো পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। পরিচালক নিজে এসে গল্প আর চরিত্র নিয়ে আমার সঙ্গে ভালোভাবে আলাপ করলে ভালো লাগার পর রাজি হই।

 

এই ছবিতে কাজ করতে কখন বাংলাদেশে আসেন?

আমি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হই টালিগঞ্জের উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশনের সামনে। আমি প্রথম বাংলাদেশে আসি ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ তে।

 

নতুন হিসেবে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াটা কেমন ছিল?

শিবলীর সঙ্গে বোঝাপড়াটা খুবই ভালো ছিল। কয়েকটা দৃশ্য ছিল যেগুলো দুজনের ভালো বোঝাপড়া ছাড়া কখনই সম্ভব হতো না। শিবলীর কারণে আমি অনেক সহজেই কাজগুলো করেছি।

 

ছবিতে এমন কোনো দৃশ্য আছে যা খুব মনে পড়ে?

বাপ্পা ভাইয়ের সঙ্গে আমাকে মাদকাসক্ত দেখানোর জন্য দুধ খেয়ে দৃশ্যটা করেছিলাম। পরের দৃশ্য ছিল কান্নাকাটির দৃশ্য। একবারেই ওকে হয়েছিল। কখনই গ্লিসারিন নিয়ে কাঁদতে হয়নি। খলনায়ক হিসেবে শিমুল খানও অনেক ভালো করেছেন।

 

তুখোড় ছবিতে মারিয়া চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাই।

মারিয়া মেয়েটি বাবা-মায়ের সম্পর্কের অবনতির জন্য খুবই হতাশায় ভোগে। তার বাবা কিন্তু ড্রাগ চক্রের সঙ্গে জড়িত। পরিস্থিতির কারণে সে ড্রাগ অ্যাডিকটেড হয়ে পড়ে।

 

ছবি মুক্তি দেওয়ার জন্য পূর্ব-প্রস্তুতিটা কেমন করেছেন?

পুরো টিম বিভিন্ন স্থানে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে ঢাকা কলেজের সামনে, টিএসসিতে গিয়েছিলাম। তারা কড়াইল বস্তিতে গিয়েছিল ছবির প্রচারের জন্য। ঢাকার বাইরে নেত্রকোনা, সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আমরা দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি ছবির ব্যাপারে কথা বলছি। ছবি মুক্তির আগে আমাদের প্রচার এভাবেই অব্যাহত থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর