শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

আয় ব্যয় খরচ কাহিনী

আয় ব্যয় খরচ কাহিনী

মাস শেষে বেতনের টাকা হাতে এলে সংসার খরচের একটা বাজেট তো থাকেই। তার বাইরেও কিন্তু সবাই ভাবে অন্য কী করা যায়। হতে পারে পছন্দের কেনাকাটা বা বেড়ানো। তারকারাও তাই করেন। পারিশ্রমিক পেলেই খরচের প্রথম ভাবনাটা কেমন থাকে। সে কথাই বললেন কয়েকজন তারকা। তাদের কথা তুলে ধরেছেন— আলাউদ্দীন মাজিদ

 

রাজ্জাক

নায়করাজ রাজ্জাক। এই কিংবদন্তি অভিনেতার কাছে নিজ পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের প্রথম দিন থেকে যখনই পারিশ্রমিক পেয়েছেন সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের জন্য নতুন কিছু কেনার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি বিদেশ নয়, দেশের মনোমুগ্ধকর দর্শনীয় সব জায়গায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে যান। রান্নাবান্নার ক্ষেত্রেও তার মুনশিয়ানার জুড়ি নেই। মাংস, খিচুড়ি, বিরানি রান্নায় পটু তিনি।

 

ববিতা

যখনই পারিশ্রমিক পাই বা হাতে টাকা-পয়সা আসে তখনই প্রথমে খবর নিই কোথায় কে কষ্টে আছে। কে কঠিন অসুখে ভুগছে। যারা কিনা কারও কাছে হাত পাততে পারে না। গোপনে তার বাসায় চলে যাই। তার জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। এতে কী যে সুখ পাই তার বর্ণনা দিতে পারব না। আমার একটি শখ  আছে। আর তা হলো আনকমন গাছ কেনা। বাগান করার প্রতি সব সময়ই আমি দুর্বল। বিদেশে গেলে গয়নাগাটি, কাপড়-চোপড় নয়, খোঁজ নিই কোথায় নার্সারি আছে। মন ভরে নিত্যনতুন গাছ কিনি।

 

চম্পা

আমি তো শপিং পাগল। এক্ষেত্রে হাত খুলে খরচ করি। ঘরে যা আছে তাও আবার কিনি। দুভাবে খরচ করি। প্রথমে কাপড়, জুতা, ব্যাগ আর প্রসাধনী কিনি। তারপর দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াই। দ্বিতীয়ত ঘরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও বাগান করার সামগ্রী কিনি। আমার অভ্যাস হলো সুন্দর সব জিনিস কিনে ঘরে নিয়ে দোকানে যেভাবে সাজিয়ে রাখে তেমনি করে রাখি। কখনো ব্যবহার করি না। আমার ড্রেসিং টেবিলটা দেখলে মনে হবে ছোটখাটো একটা প্রসাধনীর দোকান। এখন অবশ্য বেশ বুদ্ধিমতী হয়েছি, টাকা পেলে প্রথমে বুঝে নিই কোথায় খরচ করাটা আসলে খুব জরুরি।

 

শাকিব খান

শপিংয়ের প্রতি আমার খুব দুর্বলতা আছে। আয়ের বড় একটা অংশ ব্যয় করি শপিংয়ে। প্রসাধনীর ক্ষেত্রে বায়োথন ব্যবহার করি, স্যুটের ক্ষেত্রে আরমানি  প্রথম পছন্দ, পারফিউমের ক্ষেত্রে টমফোর্ড ও ডেভিডফ পছন্দ। দেশের বাইরে শুটিং কিংবা ঘুরতে গেলেও শপিং কখনই ছাড়ি না, বেশ আনন্দ পাই। ফেসবুকও আমার প্রিয়। আমি যখন ফেসবুকে থাকি তখন কেউই বুঝতে পারে না, আমার খুব কাছের বন্ধু বা সহকর্মী ছাড়া।

 

অপু বিশ্বাস

রান্না করা আমার খুব প্রিয়। হুট করেই রাত ২টা বা ৩টার দিকে যদি মনে হলো ভুনা খিচুড়ি কিংবা ইলিশ মাছ খেতে হবে, এরপর আর কোনো কথা হবে না। রান্না করে খেয়ে তারপর ঘুমাব। আরেকটি বিষয় ‘খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলি। তারপর তার কাছ থেকে যে ধরনের আচরণ আশা করি না, সে ঠিক সেই কাজগুলোই করে।’ প্রচুর পরিমাণে শপিং করি, নিজের আয়ের বড় একটা অংশ ব্যয় করি শপিংয়ে। অনেক সময় এমনো দেখা যায়, এটিম কার্ডের টাকা শেষ কিন্তু আমার শপিং করা শেষ হয় না। ফাস্টফুড জাতীয় খাবারও ভীষণ প্রিয়। যখন সুযোগ পাই খেয়ে নিই। ভাবি, ‘যা খুশি হবে, পরে দেখা যাবে।’

 

আরিফিন শুভ

এক সময় খুব বেশি ধূমপান করতাম। যেটা ছিল মাত্রাতিরিক্ত। এই বাজে অভ্যাসের পেছনে বেশি টাকা খরচ হতো। এই বদঅভ্যাস এখন আর নেই। ‘আমার কাছে মনে হয় খুব বেশি কাজের মধ্যে ডুবে থাকার কারণে অনেক সময় সবকিছু গুলিয়ে ফেলি, যা আমার একদম ইচ্ছাকৃত নয়। তবে চেষ্টা করি সব সময় সচেতন থাকার। একটা সময় প্রচুর একগুঁয়ে ছিলাম। এখন আর ততটা নেই। সময়ের কারণে অনেক কিছু বদলে গেছে। তবে সময়মতো খাওয়া নিয়ে অনেক সমস্যার মধ্যে থাকি। খাওয়ার সময়টা একদম ঠিক থাকে না।’ আর শপিং করা ও বিদেশ ভ্রমণ তো টাকা হাতে এলেই প্রথমে সেরে নিই।

 

মাহিয়া মাহি

যখন নায়িকা হইনি তখন স্বপ্ন দেখতাম আমি যদি নায়িকা হতাম আমার ঘরটা স্বপ্নপুরীর মতো করে সাজাতাম। বিছানার মাথার পাশে আমার একটা বিশাল ছবি টাঙানো থাকবে। একদিন যখন সত্যি নায়িকা হয়ে গেলাম তখন প্রথমেই ঘর সাজাতে টাকা খরচ করলাম। এখনো তাই করি। তা ছাড়া টাকা হাতে এলে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মজা করে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। শপিং তো অন্য দশটা মেয়ের মতো আমারও খুব প্রিয়। তার সঙ্গে মজার যত খাবার, আইসক্রিম দেখলে আর লোভ সামলাতে পারি না।

 

নুসরাত ফারিয়া

জুতার প্রতি ছোটবেলা থেকেই আমার প্রচণ্ড দুর্বলতা রয়েছে। টাকা হাতে এলেই প্রথমে নিত্যনতুন জুতা কিনে নিই, তারপর আমার ড্রাইভারদের বেতন। আর যদি কিছু টাকা বেচে থাকে তা দিয়ে শপিং করি। আর মজার যত খাবারের প্রতি আমার রয়েছে প্রচণ্ড দুর্বলতা। আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা জুতা কেনা। বন্ধুদের নিয়ে মজা করে ঘুরে বেড়াতে ও তাদের জন্য আকর্ষণীয় গিফট কিনতেও ভালো লাগে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর