রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত আবার শুরু

এবার রহস্যভেদ হবেই!

শোবিজ প্রতিবেদক

এবার রহস্যভেদ হবেই!

ঢাকাই চলচ্চিত্রের নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু রহস্যভেদে আবারও তদন্ত শুরু হয়েছে। পঞ্চমবারের মতো শুরু হওয়া এই তদন্ত কাজ নিয়ে সালমানের মা নীলা চৌধুরী এবার খুবই আশাবাদী। তার কথায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুবিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনেক উদাহরণ ইতিমধ্যে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পজেটিভ বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। বর্তমান পুলিশ প্রশাসনও যথেষ্ট শক্তিশালী ও স্বচ্ছ। তাই সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে এবার আমার  মনে আর কোনো সংশয় নেই। এবার রহস্যভেদ হবেই।

আত্মহত্যা নাকি হত্যা, ২০ বছরেও পুরোপুরি মীমাংসা হয়নি এ প্রশ্নের। চার দফা তদন্ত এ প্রশ্ন্নের সর্বজনগ্রাহ্য উত্তর দিতে পারেনি। অবশেষে আবার শুরু হয়েছে তদন্ত। সালমান শাহর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে এবার তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে পুলিশের নবগঠিত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে। তাদের মতে অত্যন্ত কঠিন হবে এ কাজ। কারণ গত ২০ বছরে অনেক আলামতই আর অবিকৃত নেই। অনেককেই আর সাক্ষ্যের জন্য পাওয়া যাবে না। তারপরেও টুকরা টুকরা আলামত, ইশারা মিলিয়ে ২০ বছর আগের মৃত্যুমুহূর্তটি পুনর্নিমাণের কাজে নেমেছেন তারা।

জনপ্রিয় এই অভিনেতার পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, র‌্যাব একে একে মামলাটির তদন্ত করে। মাঝখানে ১৫ বছর ধরে চলেছে বিচার বিভাগীয় তদন্তও। সবকটি তদন্ত প্রতিবেদনেই এটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু প্রতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার পর পরিবারের আপত্তির (নারাজি) মুখে তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে। পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগরের বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছেন তারা। এর মধ্যেই তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটে সালমানের মা নীলা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে এসেছেন।

সালমানের মা নীলা চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি যে প্রি প্ল্যান মার্ডার তা দিবালোকের মতো সত্য। কোর্টের দেওয়া আগের একটি রায়েও এই কথার উল্লেখ ছিল। তারপরেও এই মৃত্যুকে পরিকল্পিতভাবে বারে বারে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সালমান  স্ট্রং পার্সোনালিটি সম্পন্ন একটি ছেলে ছিল। তার পক্ষে আত্মহত্যা করা একবারেই অসম্ভব। তাকে যে ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়েছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ হলো পুনঃ ময়নাতদন্তের জন্য ছয় দিন পর তার লাশ কবর থেকে তোলা হলে দেখা গেছে মৃতদেহটি একেবারেই অবিকৃত ছিল। কান্না বিজড়িত কণ্ঠে নীলা চৌধুরী বলেন, একদিন সালমান বাসার সিঁড়িতে বসে কাঁদছিল আর আমাকে তার স্ত্রী সামিরা সম্পর্কে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ করছিল। তখন আমি সামিরাকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলি। নীলা চৌধুরী জানান, মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বর্তমানে আবারও তার কাছে নানাভাবে হুমকি আসছে। তার কথায় যত প্রতিকূলতাই আসুক সুবিচার পেতে প্রয়োজনে আজীবন যুদ্ধ করে যাব। তিনি জানান শুক্রবার সিলেট শহীদ মিনারের সামনে সালমান হত্যার সুবিচার দাবিতে বিশাল জনসমাবেশ হয়েছে। শিগগিরই ঢাকাসহ কমপক্ষে ছয়টি বিভাগে সমাবেশের আয়োজন করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর