বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

নারীদের ব্যান্ড, ব্যান্ডের নারী

নারীদের ব্যান্ড, ব্যান্ডের নারী

ব্যান্ড সংগীতের স্বর্ণযুগ না থাকলেও আবেদন হারায়নি এখনো। পুরনো ব্যান্ডের বাইরে নতুন কেউ দাঁড়াতে পারছে না। পুরুষতান্ত্রিক ব্যান্ডের পাশাপাশি চলছে নারী শিল্পীদের একাধিক ব্যান্ড। সংখ্যায় অল্প আবার কেউ কেউ নামেই ব্যান্ড, পারফর্ম করে সলো। ব্যান্ডের নারীদের নিয়ে লিখেছেন—আলী আফতাব

 

চিরকুট

চিরকুট ব্যান্ডের জন্ম ২০০২ সালে। ২০১০ সালে চিরকুটের প্রথম অ্যালবাম  ‘চিরকুটনামা’ প্রকাশ পায়। অ্যালবামের গানগুলোর মধ্যে ‘খাজনা’ গানটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। চিরকুটের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘যাদুর শহর’। এই অ্যালবামটিও সফল। বর্তমানে তারা ব্যস্ত আছে তাদের নতুন অ্যালবামের কাজ নিয়ে। এ ছাড়া ফারুকীর ‘ডুব’, রাজের ‘তুমি যে আমার’ সহ বশে কিছু চলচ্চিত্রে গান করছে চিরকুট। চলতি বছর দেশের বাইরে একাধিক শো আছে বলে জানান চিরকুটের ভোকাল শারমিন সুলতানা সুমি। এ ছাড়া এ ব্যান্ডে আরও আছে পাভেল আরিন [ড্রামস],  ইমন চৌধুরী [গিটার, বাঞ্জো, মান্ডোলিন], দিদার হাসান [বেজ]

বাহক

১৯৯৮ সালে বাংলা ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে গান শুরু করেন আনুশেহ। যদিও বর্তমানে তিনি এই ব্যান্ডের সঙ্গে নেই। তোমার ঘরে বসত করে, কৃষ্ণ পক্ষ কালো পক্ষ, নামাজ আমার, ঘাটে লাগাইয়া ডিঙাসহ অনেক গান তার কণ্ঠে অর্জন করেছে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। বাংলা ব্যান্ডের কিংকর্তব্যবিমূঢ় এবং প্রত্যুৎপন্নমতি অ্যালবাম দুটির পর আনুশেহর প্রথম একক অ্যালবাম ‘রাই’। তবে সব পেছনে রেখে আনুশেহ গড়ে তুলেছেন তার নতুন একটি ব্যান্ড। নাম ‘বাহক’। লাইনআপে আছেন বাউল শফি মণ্ডল [কণ্ঠ ও দোতারা], পান্ডু [লিড], কার্তিক [বেইজ], নজরুল [ঢোল], পালকি [অ্যাকুস্টিক গিটার]। আর বর্তমানে পান্ডুর সঙ্গে বিয়ের পর আমেরিকায় অবস্থান করছেন তিনি।

লালন ব্যান্ড

জল-মাটি-কাদার গন্ধ গায়ে মেখে গান শুরু করে ‘লালন ব্যান্ড’। এর প্রধান ভোকাল সুমী। এর যাত্রা শুরু ২০০১ সালে। শুরুর দিকে লালনের সদস্য ছিলেন ড্রামসে আশিক, লিড গিটারে জুয়েল, বেইজ গিটারে কামাল, কি-বোর্ডে মাসুম ও রাসেল। লালনের প্রথম অ্যালবাম বের হয় ২০০৭ সালে। ২০০৬ সালে তাদের পুরনো লাইনআপ বদলে যায়। বেইজ গিটারে সেন্টু, লিডে মাসুম, ড্রামসে তিতি এবং ভোকালে সুমী। নতুন বছরে নিজেদের একটি অ্যালবাম করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্যান্ড দল লালন।

তিশমা

সলো ক্যারিয়ারে সাফল্যের পর রক-রাজকন্যা তিশমা ২০০২ সালে কজন যন্ত্রী নিয়ে ব্যান্ডের  সেটআপ তৈরি করেন। এই সেটআপে গানও করেছেন অনেক। তবে নিজের পড়াশোনা আর সদস্যদের ব্যস্ততায় টেকেনি সেই সেটআপ। তারপর নিজের নামেই ব্যান্ড গড়েছেন জনপ্রিয় এই পপগায়িকা। তিনি নিজের সংগীতায়োজনেই একাধিক গান তৈরি করেছেন। অ্যালবামের পরিকল্পনা চলছে। ব্যান্ডের বাইরে কোনো শোও করছেন না তিশমা। সাত সদস্যের এ ব্যান্ডের লাইনআপ হলো—তিশমা [ভোকাল ও গিটার], রানা [বেইজ], সামু [গিটার], বিকাশ [ড্রামস], সাজু [ড্রামস ও পার্কাশান], তুষার [ড্রামস পার্কাশান]।

রেশমী ও মাটি

‘পাওয়ার ভয়েস’ থেকে আসা গায়িকা রেশমী গড়ে তুলেছেন তার নতুন একটি ব্যান্ড দল। নাম ‘রেশমী ও মাটি’। খুব অল্প সময়ে অনেক সুনাম কামিয়েছে এই ব্যান্ডটি। তাদের বর্তমান ব্যস্ততা প্রথম অ্যালবামের দুটি গানের মিউজিক ভিডিওর কাজ নিয়ে। এটির লাইনআপে রেশমী [ভোকাল] ছাড়াও রয়েছেন মীর মাসুম [কি-বোর্ড], বিকাশ রায় [ড্রামস], জাকির রানা [বেইজ], সজীব চৌধুরী [লিড] ও মাখন [অ্যাকুস্টিক]।

বর্ণমালা

পড়শীর সেলফ টাইটেলড প্রথম একক বের হয় ২০১০ সালে। এর সাফল্যের পর মঞ্চ এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একটি নির্দিষ্ট যন্ত্রশিল্পীর দলের সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে থাকেন পড়শী। এরপর এদের সবাইকে নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘বর্ণমালা’।  বছরের শেষের দিকে নতুন অ্যালবাম করা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। বর্ণমালার সদস্যরা হলেন পড়শী [ভোকাল], নাদিম আহমেদ [ভোকাল ও কি-বোর্ড], মিঠু [প্যাড ও ড্রামস], প্রিন্স [গিটার ও ভোকাল], অনির্বাণ [তবলা ও পার্কাশান], রিন্টু [বেইজ], কামরুল [বাঁশি], স্বাক্ষর এহসান [ব্যান্ড ম্যানেজার।

সর্বশেষ খবর