শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

হুমায়ুন ফরীদিকে একুশে পদক দেওয়ার দাবি

শোবিজ প্রতিবেদক

হুমায়ুন ফরীদিকে একুশে পদক দেওয়ার দাবি

প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদিকে মরণোত্তর একুশে পদক দেওয়ার দাবিতে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ‘ফরীদির জন্য একুশে পদক’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ। দাবির পক্ষে জনসমর্থন তৈরিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছে তারা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং বিকাল ৩টা থেকে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই ফেসবুক গ্রুপের অন্যতম উদ্যোক্তা সিকদার লোটাস সবুজ।

এরপর ২৬ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে চত্বরে হবে স্বাক্ষর সংগ্রহ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র ছিলেন ফরীদি। লোটাস সবুজ বলেন, ‘ফরীদির মৃত্যুর পর এক সভায় হুমায়ূন আহমেদ একদিন দাবি তুলেছিলেন, তাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের পদক দেওয়ার। এরপর অভিনেতা, লেখক ও শিল্পীমহলে একাধিকবার এই দাবি তোলা হলেও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। আমরা এবার সেই দাবি আরও জোরালো করতে চাই। যথাযথ কর্তৃপক্ষের যেন টনক নড়ে।’ চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটকের গুণী অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ২০১২ সালে মারা যান। মাদারীপুরের শিল্পী নাট্যগোষ্ঠীর মাধ্যমে নাট্যচর্চায় জড়িয়ে পড়া হুমায়ুন ফরীদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে পুরোদমে অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন। পরে যোগ দেন ঢাকা থিয়েটারে। মঞ্চে ‘ত্রিরত্ন’, ‘কীর্ত্তনখোলা’, ‘কিরামত মঙ্গল’ নাটকগুলোর পরে ‘কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘গুপ্তধন’, ‘সংশপ্তক’, ‘ভবের হাট’, ‘কোথাও কেউ নেই’ এর মতো টিভিনাটকে অভিনয় করেন তিনি। ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘জয়যাত্রা’ ‘শ্যামল ছায়া’ ‘দূরত্ব’, ‘মাতৃত্ব’, ‘ভণ্ড’, ‘বিশ্বপ্রেমিক’, ঘাতক’-এর মতো অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

সর্বশেষ খবর