বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
আলাপন : শবনম বুবলী

কিছুটা অহংকারী হয়ে উঠেছি

শামছুল হক রাসেল

কিছুটা অহংকারী হয়ে উঠেছি

সংবাদপাঠিকা থেকে সোজা বড় পর্দায় নাম লিখে আলোচনায় এসেছেন শবনম বুবলী। শাকিব খানের সঙ্গে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করছেন। বলেছেন তার সমসাময়িক ব্যস্ততার কথা

 

কেমন আছেন?

হুম... ভালো আছি। কিছুটা অহংকারী হয়ে উঠেছি।

ঠিক বুঝলাম না...

এমনি, আসলে অহংকার ছবির শুটিং করছি। মাত্র টেক দিয়ে আসলাম। ভালোই আছি। অনেক দিন পর এ ছবির মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম।

এতটা বিরতি ছিল কেন?

না ঠিক বিরতি নয়। অভিনয়ের মাঝে টুকটাক বিশ্রামেরও দরকার আছে। যদিও কেবল দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে, তারপরও বলতে চাই, আমি প্রথম থেকেই গুছিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক। তা ছাড়া বিশ্রাম পেলে চরিত্র নিয়ে ভাবা যায়। তৈরি হওয়া যায়। যা ক্যামেরার সামনে কাজে দেয়। আমি সংখ্যার চেয়ে গুণে বেশি বিশ্বাসী।

‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’ নামেই নায়কনির্ভরতা। ‘অহংকার’ও কি একই রকম?

হা. হা.. হা... ভালোই বলেছেন। না, অহংকার ছবিতে শাকিব খানের পাশাপাশি আমার চরিত্রটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া ছবির নামকরণের স্বার্থকতা আমাকে দিয়েই। আমার চরিত্রটি খুবই অহংকারী একটি মেয়ের। আপাতত এর চেয়ে বেশি বলতে চাচ্ছি না। পর্দায় উঠলেই দেখতে পাবেন।

মাঝে বেশ কিছু গুঞ্জন উঠেছে আপনাকে ঘিরে, যা এখনো চলছে...

দেখুন, ফিল্মপাড়ায় আমি হয়তো নতুন। কিন্তু এর খোঁজখবর আগে থেকেই রাখতাম। তখনো যেসব মুখরোচক গল্প শোনা যেত সেই ধারাবাহিকতা এখনো মনে হয় বহমান। আমি নিজেও এ পাড়ার অংশ হয়েছি। তাই আমি কেন বাদ থাকব? যারা বলার তারা এমনিতেই বলবে। কে বা কারা আমার কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু মোটিভেটেড খবর ছড়িয়েছে। এদের অনেককেই ইতিমধ্যে  চিনতে পেরেছি। তবু শুধু বলব আমি কেবল কাজই করে যেতে চাই।

বলা হয় শাকিব-অপুর জুটির কফিনে আপনি পেরেক ঠুকে দিয়েছেন...

সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে যায়। শাকিব-অপু জুটি নিঃসন্দেহে অন্যতম পরীক্ষিত সেরা জুটি। এখন দর্শকরা যদি  নতুন কাউকে চায় তাতে দোষের কিছু নেই। ওই যে বললাম, একটা সময় শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে শাবনূর, পূর্ণিমা, সাহারা আপাও কাজ করেছেন। এমনকি অতীতেও এরকম জুটি দেখা গেছে। যেমন : রাজ্জাক-ববিতা, রাজ্জাক-কবরী, রাজ্জাক-শাবানা, আলমগীর-শাবানা, আলমগীর-ববিতা ইত্যাদি। এখন পরিচালক ও প্রযোজকরা শাকিব-বুবলীকে নিয়ে কাজ করতে চাইলে  কিছু করার নেই। ওই যে বললাম দর্শক চাহিদা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

যেহেতু ফিল্মপাড়ায় নেমেছি তাই মনেপ্রাণেই এখানে থাকার পরিকল্পনা এঁটেছি। আর শুধু গ্ল্যামার নয়, অভিনয় দিয়েই এ দৌড়ে টিকে থাকতে চাই। কারণ একটা অন্যটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই অভিনয়ের সেরাটা ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ খবর