রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘আমার নায়কের সঙ্গেই তো বুবলীকে কাজ করতে হলো’

-----------অপু বিশ্বাস

আলাউদ্দীন মাজিদ

‘আমার নায়কের সঙ্গেই তো বুবলীকে কাজ করতে হলো’

‘একবার আড়াল হয়ে দেখেন, লোকজন কতভাবে এর ব্যাখ্যা করবে, শুনে নিজেই হাসবেন না হয় রেগে যাবেন। আমার এই আত্মগোপন খুবই দরকার ছিল। না হলে কে কেমন মানুষ তা বুঝতে পারতাম না। জানেন, আমি মানুষকে খুব বিশ্বাস করি। আর যাদের মনে প্রাণে বিশ্বাস করি তারাই আমাকে সবার আগে কষ্ট দেয়।’ বেশ আবেগি হয়ে বললেন সদ্য ফেরা অপু বিশ্বাস।

কেন আড়াল হয়েছিলেন? ‘আরে আমিও তো রক্তে মাংসে গড়া একজন মানুষ। আমারও তো মান-অভিমান, জেদ, রাগ থাকতে পারে।’ আগেই বলেছিলেন এই অভিমান শাকিবের ওপর। আসলে তাই? স্মিত হেসে এই সুশ্রী নায়িকা বলেন, ‘শাকিব তো আমার সহশিল্পী আর খুব কাছের মানুষ। বলতে পারেন অভিভাবকতুল্য। পাশাপাশি দুটো জিনিস থাকলে তাতে ঠোকাঠুকি হতেই পারে। শাকিব আর আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তা ছাড়া আড়ালে যাওয়ার আরও দুটো কারণ ছিল। মা অসুস্থ ছিলেন, তার চিকিৎসার জন্য টানা সময় দেওয়া আর হঠাৎ দেখলাম শরীরে আবার মেদ জমছে। ভাবলাম যদি আড়াল না হই তাহলে একান্তে এসব কাজে মনোনিবেশ করতে পারব না। তাই সবার কাছ থেকে দূরে সরে গেলাম।’ কিন্তু এতে আপনার কাজ শুরু করা ছবির নির্মাতারা তো ক্ষতির মুখে পড়েছেন? কিছুটা বিষণ্ন হয়ে অপু বলেন, তাদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’ ভক্তরাও তো দুঃখ পেয়েছেন। এবার চোখে মুখে আনন্দের রেখা টেনে অপু বলেন, ‘আরে আমি যদি আড়াল না হতাম তাহলে কখনই বুঝতে পারতাম না যে তারা আমাকে কত্তো ভালোবাসে। আমার মনে হয় ভালোবাসার পরিমাণটা ঝালাই করতে মাঝে মধ্যে চোখের আড়াল হওয়া দরকার। হাসিতে আত্মহারা হয়ে আবার অপু বলেন, কথায় আছে ‘চোখের আড়াল হলে নাকি মনের আড়াল হয়ে যায়।’ আমি এক্ষেত্রে অনেক ভাগ্যবতী। কারণ কারও মনের আড়াল তো হইনি বরং আমার জন্য সবার ভালোবাসা আরও বেড়েছে।’ এভাবেই কী কোনোদিন চলচ্চিত্র জগত থেকে হারিয়ে যাবেন? দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কণ্ঠে তার জবাব, ‘কখনই না। এই জগত আমাকে আজকের অপু বিশ্বাস বনিয়েছে। চলচ্চিত্র জগতই এখন আমার আসল ঘর। নিজের ঘরকে তো কখনো পর করতে পারব না। কমপক্ষে আরও পাঁচ বছর একটানা মন দিয়ে কাজ করব। কারণ আমার মনে হচ্ছে চিরদিন মনে রাখার মতো কোনো কাজ এখনো আমি করতে পারিনি।’ আপনার আড়াল হওয়ায় বুবলীর অভিষেক ঘটেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? আত্মপ্রত্যয়ী অপুর ত্বরিত উত্তর, ‘একজন নতুন মুখ আসার খুবই দরকার ছিল। আমাদের শিল্পে দীর্ঘদিন শিল্পী সংকট চলছিল। বুবলীর মাধ্যমে এই সংকট কিছুটা হলেও তো কাটল।’ কিন্তু শাকিব-বুবলীকে ঘিরে তো নানা মুখরোচক কথা ডালপালা ছড়িয়েছে। -‘আরে ওসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শাকিব সহজ সরল ছেলে, তা ছাড়া ও কখনো কোনো কথার প্রতিবাদ করে না। তাই সবাই ওকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। বুবলীকে জড়িয়েও তাই হয়েছে। আসল কথা হলো সত্যিই আমি ভাগ্যবান, কারণ আমার চুক্তি হওয়া ছবি আর আমারই নায়ক শাকিবের সঙ্গেই তো বুবলীকে কাজ করতে হলো।’ আমার নায়ক মানে? এমন প্রশ্নে চোখে মুখে কিছুটা লজ্জার লালিমা এঁকে অপু বললেন, আরে ঢাকাই ছবিতে আমরা তো অন্যতম সেরা জুটি। ‘অপু-শাকিব’ জুটিকে কি কেউ কখনো আলাদা করে দেখতে পারবে। ও আমার নায়ক আর আমি ওর চিরদিনের নায়িকা।’ এটি কি শুধুই পর্দায়? এবার দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে অপু বলেন, দয়া করে আর কটা দিন অপেক্ষা করুন। আগামী মাসেই সবার সামনে সব অজানা কথার ঝাঁপি খুলে দেব...।

সর্বশেষ খবর