চলচ্চিত্রে থিতু হওয়ার লড়াইয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছেন চিত্রনায়িকা তানহা তাসনিয়া। পাঁচ মিনিটের আলাপে আজ থাকছে তার কথা।
রুপালি জগতে সময়টা কেমন কাটছে?
হুম, বেশ ভালো, একেবারে ফুরফুরে বলতে পারেন। মাঝখানে একটু দ্বিধায় ছিলাম। এখন আবার সব ঠিকঠাক। বলতে পারেন ‘ভালো থেকো’ নিয়ে বেশ ভালো আছি। জাকির হোসেন রাজু স্যারের এই ছবিটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। তা ছাড়া এবারই প্রথম আরিফিন শুভর বিপরীতে কাজ করলাম। সেটাও নতুন একটা অভিজ্ঞতা বলতে পারেন।
বড় পর্দায় দাঁড়াতে গিয়ে নতুনদের নাকি প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়?
কথাটা একেবারে মিথ্যা নয়। সমস্যা দুই ভাবে হয়, প্রথমত নতুনদের জন্য কোনো প্রকার গ্রুমিংয়ের ব্যবস্থা নেই। দ্বিতীয়ত কিছু মন্দলোক ওঁৎ পেতে থাকে। তবে প্রতিকূলতা সব ক্ষেত্রেই থাকে। যাচাই-বাছাই করে বুঝে শুনে এগুতে পারলে কোনো স্বপ্নই আর অধরা থাকে না।
এ ক্ষেত্রে কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে?
উফ্, আছে মানে! আমার দ্বিতীয় ছবি ‘ধূমকেতু’ই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। কাজ করলাম আন্তরিকতার সঙ্গে। কিন্তু ছবি মুক্তির পর আমি তো নিজেই নিজেকে খুঁজে পেলাম না। গান, অনেক দৃশ্য এমন কি পোস্টারেও খুঁঁজে পাইনি নিজেকে। এটা কেন হলো আমি আজও জানি না। কাছের মানুষরা বলে ম্যানেজ করে চললে হয়ত সবই হতো। কিন্তু সবাই কী আর সবকিছু পারে?
তাহলে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে এগুবেন কীভাবে?
চেষ্টা করছি। চরম ধৈর্য ধরেছি। এভাবেই আস্তে আস্তে এগুতে চাই। ২০১৪ সালে ‘ভোলা তো যায় না তারে’ ছবিটি দিয়ে এই ভুবনে এসেছি। তিন বছরে আমার হাতে ছবি মাত্র তিনটি। স্রোতে গা ভাসালে এই সংখ্যা কয়েকগুণ হতে পারত। সেদিকে নাই বা হাঁটলাম।
অনেকে বলেন, কাজ নয়, অর্থ উপার্জনের মানসিকতায় নতুনরা ঝরে পড়ে?
সবার ক্ষেত্রে এ কথা ঠিক নয়। এখন নতুনদের ঝরে পড়ার প্রধান কারণ মানসম্মত ছবির অভাব। ছবির অভাবে তারা অকালে ঝরে যায়।