শিরোনাম
বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট

ড্যাশিং হিরো হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম

জায়েদ খান

শোবিজ প্রতিবেদক

ড্যাশিং হিরো হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম

জায়েদ খান। তার কথায় ড্যাশিং হিরো হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় পর্দায় আসা। স্বপ্ন কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে। এবার শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে আসতে চাই। এসব প্রসঙ্গে আজ তার সঙ্গে ৫ মিনিটের আলাপন—

 

নায়ক হওয়ার পেছনের কারণ...

ছোটবেলায় স্কুল পালিয়ে ছবি দেখতাম। ড্যাশিং হিরো সোহেল রানার অভিনয় মন কাড়ত। তার মতো ড্যাশিং হিরো হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। একই সঙ্গে রুবেল ভাইয়ের মার্শাল আর্টেরও ভক্ত ছিলাম। এসব স্বপ্ন পূরণে আমার নায়ক হওয়া।

স্বপ্ন কতটা পূরণ হয়েছে?

বলতে পারি অনেকটাই পূরণ হয়েছে। দেশের মানুষ এখন আমাকে নায়ক জায়েদ খান হিসেবে চেনে, ভালোবাসে, এই তো আমার নায়ক হওয়ার স্বার্থকতা।

নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত কেন?

সবসময় চলচ্চিত্রের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আগে পাইরেসি আর হিন্দি ছবি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে সোচ্চার আন্দোলন করেছি। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যারা ক্ষমতার চেয়ারে বসে তারা অন্যের কল্যাণের চেয়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধিতেই বেশি ব্যস্ত থাকে। এ অবস্থা কখনো মন থেকে মেনে নিতে পারি না। এই অবস্থার পরিবর্তন করতেই নির্বাচনে আসা।

চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা কেমন?

এক কথায় খুবই নাজুক। চলচ্চিত্র শিল্পের দুরবস্থা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। এফডিসি কর্মশূন্য। সিনেমা হল বন্ধ হচ্ছেই। ভালো ছবি নেই। নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের বেকারত্ব বাড়ছে। সব মিলিয়ে মারাত্মক দৈন্যদশায় আছে এই শিল্প।

উত্তরণ সম্ভব কীভাবে?

সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে। সবাই মিলে যদি প্রতিটা সমস্যা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে এর সমাধানে এগিয়ে আসতে পারি তাহলে উত্তরণ কেন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার চলচ্চিত্রবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী এই শিল্পের উন্নয়নে যথাসাধ্য সহযোগিতা করছেন। তার কাছে সমস্যা চিহ্নিত করে তা যদি উপস্থাপন করতে পারি তাহলে সমস্যা বলে আর কিছু তো থাকার কথা নয়। আগে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে।

আগামী পরিকল্পনা কেমন?

আমার সব পরিকল্পনা চলচ্চিত্রকে ঘিরে। সব ধরনের দর্শক গ্রহণযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই। আর নির্বাচনে যে প্যানেল নিয়ে এগুচ্ছি এর সবাইকে যদি বিজয়ী করে আনতে পারি তাহলে চেষ্টা থাকবে চলচ্চিত্র শিল্পকে আবার ঘুরে দাঁড় করানোর।

সর্বশেষ খবর