মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট

আমাদের চারপাশে হাজারো নুরু মিয়া বাস করে

ফজলুর রহমান বাবু

শোবিজ প্রতিবেদক

আমাদের চারপাশে হাজারো নুরু মিয়া বাস করে

অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু। মূলত ছোট পর্দার অভিনেতা হলেও কাজ করছেন বড় পর্দায়ও। গায়ক হিসেবেও মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। ৩১ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত ‘নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার’ ছবিটি। আজ তার সঙ্গে আলাপন—

 

বরাবরই ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করে আসছেন। সাধারণ বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে নয় কেন?

হ্যাঁ অনেক ছবিতে অভিনয় করলাম। সবগুলোই ভিন্ন ধারার গল্পে নির্মিত। আসলে এখন যেসব বাণিজ্যিক ছবি নির্মাণ হয় তাতে অভিনয়ে আমার আগ্রহ নেই। যে ছবি দেখে দর্শকের চোখে পানি আসে, যে ছবির গল্প বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিলে যায় সে ধরনের ছবিতেই কাজ করতে পছন্দ করি। আগামীতে ‘নূরু মিয়া ও বিউটি ড্রাইভার’, ‘গহীনে বালুচর’, ‘হালদা’, ‘জাল’, ‘ঢাকা ড্রিম’ ছবিগুলো দর্শক দেখবে এবং এতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে আমাকে খুঁজে পাবে।

 

শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ‘নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার’। ছবিটি নিয়ে কিছু বলুন—

আমাদের চারপাশে হাজারও নুরু মিয়া বাস করে। তাদের খবর কেউ রাখে না। এ ধরনের ছবিতে জীবনের গল্প আছে। এতে খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলা হয়। এ ধরনের ছবিতে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ক্যামেলিয়া রাঙা নামে নতুন একটি মেয়ে। ছবির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন মিজানুর রহমান লাবু। জাদুকাঠি মিডিয়ার প্রযোজনায় চমৎকারভাবে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। দর্শকদের অনুরোধ করব সিনেমাহলে গিয়ে যেন তারা ছবিটি দেখে। আশা করি হতাশ হবে না।

 

ছোটপর্দাতেও আপনার চরিত্রে ভিন্নতা থাকে। মানে আপনাকে গতানুগতিক ধারার বাইরের একজন শিল্পী বলতে পারি, তাই কি?

ঐ যে বললাম, সাধারণ গল্প বা চরিত্রে আমার আগ্রহ নেই। সব সময় দর্শকদের ভিন্ন কিছু উপহার দিতে চাই। ছোট কিংবা বড় পর্দার কাজ যাতে জীবনের গল্প আছে তেমন কাজে আমার স্বাচ্ছন্দ্য। দর্শক আমাকে যেসব নাটকে দেখতে পাচ্ছে বা পাবে তার সবগুলোতেই ভিন্নতা আছে।

 

অভিনয়ের পাশাপাশি ভালো গানও করেন। অভিনয়শিল্পী না কণ্ঠশিল্পী কোন পরিচয় ভালো লাগে?

গান করি শখে। আর অভিনয় মিশে গেছে রক্তে। তাই অভিনয়শিল্পী পরিচয়টিই প্রধান। তারপরও আমার বেশ কটি মিক্সড অ্যালবাম ও একক হিসেবে ‘ডুবাডুবি’ ও ‘হীরামন পাখি’ প্রকাশ হয়েছে। আমার অভিনীত বেশির ভাগ ছবিতে আমার কণ্ঠে গান থাকে। আর গানগুলো দর্শক পছন্দ করে। এটিই আমার পরম পাওয়া।

 

নিজ কাজের স্বকীয়তা ও স্বীকৃতি সম্পর্কে কিছু বলুন।

আমি খুব ধীর স্থিরভাবেই টেলিভিশন মাধ্যমের পাশাপাশি বিনোদনের অন্যান্য মাধ্যমে কাজ করে চলেছি। সময়ের পালাবদলে কাজের ক্ষেত্র, পরিধি এবং নতুন ধারার সৃষ্টিতে বিশ্বাসী আমি।

রাষ্ট্র এবং নানা সংগঠন আমার এই স্বকীয় ধারার কাজের স্বীকৃতিও দিয়েছে। ২০০৪ সালে ‘শঙ্খনাদ’ ছায়াছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার, একাধিক বার মেরিল-প্রথম আলো, ডায়মন্ড আর.টি.ভি স্টার, পদ্ম এবং বাচসাস (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি) পুরস্কার লাভ করেছি।

এটি অবশ্যই আমার ভালো কাজের অর্জন।

সর্বশেষ খবর