শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

না ফেরার দেশে বিনোদ খান্না

না ফেরার দেশে বিনোদ খান্না

জন্ম : ৬ অক্টোবর, ১৯৪৬; মৃত্যু : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গতকাল মারা গেলেন বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা বিনোদ খান্না। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গত ৩১ মার্চ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তখনই পরিবারের সঙ্গে তার একটি ছবিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এবার সত্যিই তিনি চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে। বলিউডের ‘মোস্ট হ্যান্ডসাম’ অভিনেতা হিসেবে কদর ছিল বিনোদ খান্নার। তাকে বলা হতো ‘ম্যাটিনি আইডল’। বিনোদ খান্নার প্রয়াণে বলিউডজুড়ে এখন শোকের ছায়া। শোকস্তব্ধ তার অসংখ্য অনুরাগী।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে বলিউডে বিনোদ খান্নার আত্মপ্রকাশ। বক্স অফিস তাকে কখনই নিরাশ করেনি। তার ঝুলিতে রয়েছে ১৪০টি ছবি। তার অভিনীত শেষ ছবি ২০১৫ সালে ‘দিলওয়ালে’। অভিনয়ের সঙ্গে রাজনীতিতেও আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন এই কিংবদন্তী অভিনেতা। আশির দশকের দাপুটে নায়ক ছিলেন তিনি। ড্যাশিং হিরো হিসেবে সুনাম ছিল তার। তিনি অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন। ১৯৬৮ সালে ‘মান কা মিত’ ছবির মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনে পা রাখেন বিনোদ খান্না। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘মেরে আপনে’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘ইমতিহান’, ‘সিকান্দার’, ‘ইনকার’, ‘অমর, আকবর, অ্যান্থনি’ ‘লাহু কে দো রঙ’, ‘কুরবানি’, ‘দয়াবান’, ‘জুর্ম’ উল্লেখযোগ্য।

তিনি ১৯৭১ সালে প্রথম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্ত্রীর নাম গীতাঞ্জলি। সেই দাম্পত্য সংসারে দুই পুত্রের জনক তিনি। তারা হলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় খান্না ও রাহুল খান্না। গীতার সঙ্গে ১৯৮৫ সালে বিচ্ছেদ হলে ১৯৯০ সালে আবারও ভালোবেসে কবিতা খান্নাকে বিয়ে করেন তিনি। সেই সংসারে সাক্ষী খান্না নামে এক পুত্র ও শ্রদ্ধা খান্না নামে এক কন্যা রয়েছে বিনোদ খান্নার। বরেণ্য এই অভিনেতা সর্বশেষ ২০১৫ সালে শাহরুখ খানের ‘দিলওয়ালে’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।

তবে গেল ২৩ এপ্রিল মুক্তি পায় এই অভিনেতার অভিনয় করা মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ চলচ্চিত্রটি। অবশ্য এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল আরও আগেই।

সর্বশেষ খবর