মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট

প্রাপ্তির কথা ভেবে গান করিনি

খুরশীদ আলম

আলী আফতাব

প্রাপ্তির কথা ভেবে গান করিনি

গুণী সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম। বয়সে প্রবীণ হলেও যেন কোনো ক্লান্তি নেই তার পথচলায়। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও আজ তিনি নিজের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। সংগীত জীবনের পথচলার নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে আজ তার আলাপন—

 

 

নতুন কোনো গান করছেন?

আমি গানের মানুষ, গান ছাড়া থাকতে পারি না। নতুন কিছু গান করছি ঈদের জন্য। আর এখন শ্রোতারা অনেক আধুনিক হয়ে গেছে। অ্যালবামে এখন আর মানুষ গান শোনে না। অনলাইনে নাকি সব হয়।

 

তাহলে আপনার গাওয়া গানগুলো সংরক্ষণের কথা কিছু ভাবছেন?

সিডির বাজার নেই সেটি আমিও মানি। এখন সব কিছু ডিজিটাল হয়ে গেছে। আমি অনেক গান করেছি কিন্তু সেভাবে সংরক্ষণের কথা ভাবিনি। তবে আমার গানের প্রচুর সিডি আমার কাছে রয়ে গেছে। তার বাইরে তেমন কিছুই করিনি। তেমন কোনো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে উদ্যোগ থাকলে মন্দ হতো না।

 

এ অবস্থায় করণীয় কী?

কারও একার প্রচেষ্টায় এই অবস্থা দূর করা সম্ভব নয়। সংগীতের সঙ্গে যারা জড়িত আছেন শিল্পী, গীতিকার, সুরকার সবাইকে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল। কারণ একসঙ্গে কাজ করলে অনেক বড় সমস্যাও সমাধান করা যায়। সম্মিলিত চেষ্টায় অনেক বড় বাধাও এড়িয়ে চলা সম্ভব।

 

অনেকটা সময় ধরে গানের সঙ্গে আছেন। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির জায়গাটা কীভাবে দেখেন?

সত্যি কথা বলতে কী কোনো কিছু পাওয়ার আশা করে আমি গান শুরু করিনি। শুধু আমি নই, আমাদের সময়কার যারাই গান করেছেন তারা প্রাপ্তির কথা না ভেবেই করেছেন। আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি হচ্ছে ভক্তদের ভালোবাসা। আর অপ্রাপ্তি হচ্ছে এখনো মনে হয় গান বোধহয় ঠিকভাবে গাইতেই পারলাম না।

 

নতুনরা কেমন গান করছে বলে আপনি মনে করেন?

নতুনদের  মধ্যে অনেকে ভালো করছে।  এখনো অনেকে ফোন করে আমার গান গাওয়ার অনুমতি নেন। নিঃসন্দেহে এটি আমার বড় প্রাপ্তি। তবে সবার কাছে আমার একটি অনুরোধ থাকবে। শুধু অনুমতিই নয়, গান করার আগে তারা যেন সুরকার এবং গীতিকারদের কথা জানিয়ে গান। কারণ এই মানুষের জন্যই আমি বা আমরা শিল্পী হতে পেরেছি। যদি তারা আমাদের কথা ভেবে গান না লিখতেন অথবা সুর না করতেন আজকের খুরশীদ আলম সৃষ্টি হতো না।

 

প্রথম গানের পারিশ্রমিক পাওয়ার অনুভূতি কেমন ছিল?

আনুষ্ঠানিকভাবে গান গেয়ে ১০০ টাকা পেয়েছিলাম। সে সময় এটাই অনেক বেশি ছিল। অনুভূতির কথা আসলে তেমন বোঝাতে পারব না। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে গীতিকার, সুরকার আমাকে যেভাবে তৈরি করেছেন সেভাবেই আমি গান গেয়েছি। আমার কৃতিত্বের কিছু নেই।

সর্বশেষ খবর