শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

লাকী আখন্দকে নাগরিক শ্রদ্ধা

শোবিজ প্রতিবেদক


লাকী আখন্দকে নাগরিক শ্রদ্ধা

শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে লাকী আখন্দ নাগরিক শ্রদ্ধা আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে গত ২১ এপ্রিল অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমান লাকী আখন্দ। এ শিল্পীর মৃত্যুতে শোকে ভেসেছেন তার ভক্তরা। এবার তাকে স্মরণ করবে নাগরিক সমাজ। প্রিয় শিল্পীর সৃষ্টি ও কর্ম নিয়ে কথা বলবেন তার দীর্ঘদিনের পথ চলার সঙ্গী ও সুরের সারথীরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আজ একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘শিল্পী লাকী আখন্দকে নাগরিক শ্রদ্ধা’ শীর্ষক এ আয়োজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক মুঠোবার্তায় তথ্যটি জানান লাকী আখন্দের ঘনিষ্ঠজন ও অন্যতম আয়োজক এরশাদুল হক টিংকু। তিনি জানান, অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আনিসুল হক, গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরী, সংগীতশিল্পী ও সংগঠক হামিন আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে লাকী আখন্দের ওপর নির্মিত ভিডিওচিত্র, তার সুরারোপিত শেষ গানের মিউজিক ভিডিওসহ শিল্পীর জনপ্রিয় তিন গান। সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের গানের জগতে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে আসেন লাকী আখন্দ। এই নীল মনিহার, আগে যদি জানতাম, নীলা, আমায় ডেকো নাসহ এমনি অসংখ্য গান ও সুরের মায়াজাল তিনি সৃষ্টি করেছেন। প্রায় আড়াই হাজার গানে সুরারোপ করেন তিনি। ১৯৮০ সালে সালাহউদ্দীন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ ছবির সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে তিনি পালটে দিয়েছিলেন চলচ্চিত্রের গানের ধারা। ‘ঘুড্ডি’ ছবির ‘ঘুম ঘুম চোখে’, ‘সখী চল না’, ‘যেমন নদীর বুকে নাও ভাইসা চলে’ এবং  ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুরে মগ্ন এ শিল্পী রেখে গেছেন সাড়ে চারশোরও বেশি অপ্রকাশিত গান। 

সর্বশেষ খবর