কেমন আছেন?
খুউব. খুউব.. খুউব ভালো আছি।
হঠাৎ এত আনন্দ...
পরী সব সময় আনন্দে থাকে। সুখে যেমন পাবেন দুঃখেও তেমন পাবেন পরীকে। আমার থিউরি লাইফটাকে আগে এনজয় করা। জীবনে চড়াই উতরাই থাকবেই। এরই মাঝে উপভোগ করতে হবে জীবনটাকে।
এ জন্যই কি ক্যারিয়ার ও প্রেম একসঙ্গে চালাচ্ছেন?
হি. হি.. হি...। আপনারা পারেনও বটে। আমরাও তো রক্তমাংসের মানুষ। প্রফেশনাল বিষয় একটি আর পার্সোনাল লাইফ আরেকটি। পার্সোনাল লাইফে প্রেম-ভালোবাসা থাকতেই পারে। এটা তো আর অপরাধ না।
চাইনিজ ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। প্রস্তুতি কেমন?
অনেকটা হুটহাট করেই চাইনিজ ছবিতে নাম লিখিয়েছি। ছবিটি চাইনিজ ভাষায় হবে। তাই ডাবিং আমার দ্বারা সম্ভব না। তারপরও টুকটাক হাই-হ্যালো বলার জন্য চাইনিজ ভাষা রপ্তের চেষ্টা করছি। যতটুকু জেনেছি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চাইনিজ ছবিতে আমিই হয়তো নাম লেখাতে যাচ্ছি। এ জন্য আনন্দটাও একটু ভিন্ন রকম।
এখন নাকি বেছে বেছে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন?
একটা সময় মিডিয়ার অনেক কিছুই বুঝতাম না। রুপালি জগৎ ভিন্ন এক জগৎ। এটা সত্য যে একসঙ্গে অনেক ছবিতেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এখন দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। চাচ্ছি বছরে দুটা বা তিনটা ছবি দিয়ে দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নিতে। অভিনয়ে পুরোপুরিভাবে মনোনিবেশ করতে চাই। একই সময়ে একাধিক ছবিতে অভিনয় করলে নির্দিষ্ট চরিত্র ফুটিয়ে তোলা কষ্টকর। তাই ছবি কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রায় ডজনখানেক ছবি মুক্তি পেয়েছে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মিল কতটুকু?
প্রাপ্তি দিয়েই শুরু করি। যা পেয়েছি তা নিয়ে সন্তুষ্ট। আর প্রত্যাশা; সেটাও আশা করি পুরোপুরি মিলবে। গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ এবং মালেক আফসারীর ‘অন্তরজালা’ ছবি দুটির মাধ্যমে এ প্রত্যাশার কফিনে পুরোপুরি পেরেক ঠুকে দিব। আশা করি ভিন্ন এক পরীকে দর্শকরা পাবে এখানে। বিশেষ করে স্বপ্নজাল ছবিটি আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। তার মানে এই নয় যে অন্য ছবিগুলো ক্যারিয়ারকে ত্বরান্বিত করেনি। সব ছবিরই ভূমিকা রয়েছে আমার ক্যারিয়ারে। বলতে চাচ্ছি এই ছবি দুটি আরও বেগবান করবে এ যাত্রাকে।
বিজ্ঞাপনেও বেশ সরব দেখা যাচ্ছে, অনুভূতি কেমন?
বিজ্ঞাপন এবং বড় পর্দা— দুই জগৎ। বিজ্ঞাপনটা খুব তাড়াতাড়ি নির্মিত হয়। আর দর্শক প্রতিক্রিয়াটাও তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। আর বড় পর্দার কাজ অর্থাৎ সিনেমা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায় পরে।
ঈদে মুক্তি পাচ্ছে সোনাবন্ধু ছবিটি...
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঈদের ছবি মানে একটু এক্সটা অর্ডিনারি, কমার্শিয়াল ও ড্যাশিং টাইপের। আর সোনাবন্ধু ছবিটি সম্পূর্ণ ফোক ঘরানার। তাই মনে মনে কিছুটা শঙ্কিত ছিলাম। কিন্তু প্রিমিয়ার দেখার পর উজ্জীবিত হয়েছি। ভুলটা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। শঙ্কার কিছু নেই। আমাদের দেশে ফোক ঘরানার গ্রহণযোগ্যতা এখনো তুঙ্গে। দর্শক টানার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই রয়েছে সোনাবন্ধু ছবিতে। এটিও ঈদের অন্যতম আকর্ষণ ও ব্যবসা সফল ছবি হবে বলে আমি মনে করি। বড় পর্দায় উঠলে দর্শকরাই বিচার করবেন।