সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
মীর সাব্বির

সম্মানীর ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা আছে

পান্থ আফজাল

সম্মানীর ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা আছে

অভিনেতা মীর সাব্বির। দীর্ঘদিন ধরে টিভি নাটকে কাজ করে আসছেন। নাটক নির্মাণেও যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে নাটকের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের আলাপন—

 

সাম্প্রতিক ব্যস্ততা...

ঈদের জন্য কিছু নাটকে কাজ করছি। তবে ‘নোয়াশাল’ নাটকের শুটিং নিয়মিত করছি। প্রায় ৭-৮টি সিরিয়ালে কাজ করছি। সৈয়দ শাকিল, এ জাবীর রাসেল, শামীম জামান, এজাজ মুন্না এবং রহমতুল্লাহ তুহিনের সঙ্গে কাজ করেছি। বাংলা টিভিতে দীপঙ্কর দীপনের একটি কাজ প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে। নির্মাতাদের সঙ্গে আরও কিছু কাজের কথাবার্তা চলছে।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ব্যাপারে অভিমত কী?

এই চুক্তির দরকার আছে। তবে শুধু চুক্তি হলেই হবে না; এর বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। সব ক্ষেত্রেই তো ডুয়েল-প্লের মানুষ থাকে। এদের চিহ্নিত করতে পারলেই অনেকটা বাস্তবায়ন সম্ভব।

 

নাটকের গল্পে ভাঁড়ামো কতটুকু যুক্তিসঙ্গত?

দেখেন এ দেশের নাটকে কিন্তু বেশি কমেডি চলে। চ্যানেলে ডিমান্ড, পরিচালক ডিমান্ড, দর্শক ডিমান্ডও বলতে পারেন। কমেডি কঠিন একটা কাজ। সবাই কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতে পারে না। আমি কেন করছি? সেটার থেকে বেশি দরকার কেন বানাচ্ছে? কারা বানাচ্ছে? এটাই মূল বিষয়। আমরা তো এসবের উপকরণ মাত্র!

 

নাটকে ঘুরেফিরে সেই একই মুখ...

মানুষ মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরীকে দেখতে চায়। তারা অনেক বেশি দর্শকপ্রিয়। অন্যদিকে নতুনরা কিন্তু তৈরি হচ্ছে খুবই কম। ইদানীং হয় ইম্প্রভাইজিং নাটক। হুট করে অভিনয়-এটা খুবই কঠিন। পরিচালক, প্রডিউসার, চ্যানেল চায় বাজেট আর চেনা মুখ নিয়ে নাটক বানাতে। তাই আমাদের কাছে ঘুরেফিরে আসে। তবে এক্ষেত্রে এজেন্সির একটা দায়বদ্ধতা আছে। আসলে নাটক তো এখন সবাই খায়, দেখে না!

 

শিল্পী সম্মানী নিয়েও সমস্যা আছে...

এক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা তো আছেই। নাটকে ঘুরেফিরে  সেই মোশাররফ করিম, তাহসান কিংবা জনকে লাগবেই। তাহসান আর জন তো গায়ক হিসেবেই পরিচিত, অভিনেতা নন। কিন্তু সবার ডিমান্ড; শিডিউল লাগবেই তাদের। তাই তারা সম্মানী ডিমান্ড করেন বেশি। শিল্পীদের এই পারিশ্রমিক ঠিক করা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। চ্যানেল থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভালো কিছু পরিকল্পনার।

সর্বশেষ খবর