শিরোনাম
রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

হল সংকটের মাঝে ঈদে তিন ছবি

আলাউদ্দীন মাজিদ

হল সংকটের মাঝে ঈদে তিন ছবি

 

ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তিন ছবি। দেশে সিনেমা হল আছে  ২৩০টির মতো। এই স্বল্প সংখ্যক সিনেমা হল দিয়ে একসঙ্গে দুইয়ের বেশি ছবি মুক্তি পাওয়া মানে ছবিগুলো লোকসানের মুখে পড়া। এমন মন্তব্য চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির।

ঈদুল আজহায় মুক্তির জন্য এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে শাকিব-বুবলী অভিনীত ‘রংবাজ’ ও ‘অহংকার’ আর ডিএ তায়েব, পপি, পরিমণীর ছবি ‘সোনা বন্ধু’। সূত্র মতে, রংবাজ আর অহংকার দুই শতাধিক সিনেমা হল পাচ্ছে। অন্যদিকে সোনা বন্ধু পাচ্ছে অর্ধশতাধিকেরও কম সিনেমা হল। প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সুদীপ্ত কুমার দাশ বলেন, শাকিব খানকে নিয়ে একটি ছবি নির্মাণে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় হয়। আর ঈদের ছবির বাজেট তো অনেক বেশি। কিন্তু পর্যাপ্ত সিনেমা হল না থাকলে লাভ দূরে থাক লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত আসবে কোথা থেকে। তাই দুইয়ের অধিক ছবি মুক্তি পেলে লোকসানের ঝুঁকি থেকেই যায়। তা ছাড়া এবার উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হওয়ায় সিনেমা হলের সংখ্যা আরও কমবে। ফলে ঈদে ছবির ব্যবসা নিয়ে উৎকণ্ঠা থেকেই যাচ্ছে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা ছটকু আহমেদ বলেন, সিনেমা হল সংকট এখন চলচ্চিত্র ব্যবসার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকটের কারণে চলচ্চিত্র নির্মাণ কমে গেছে। তার কথায় পণ্য উৎপাদন করার পর তা বিক্রির জন্য দোকান লাগবে। দোকান না থাকলে পণ্য উৎপাদন করে কি হবে। বিক্রি করব কোথায়। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এখন এই অচল অবস্থাই চলছে। নির্মাণের পর প্রদর্শনের জন্য সিনেমা হল নেই। ঈদ হচ্ছে চলচ্চিত্র ব্যবসার প্রধান মৌসুম। এই মৌসুমে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আয় হয় বেশি। সিনেমা হল কমে যাওয়ায় এই সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নির্মাতারা। এবারও হয়েছে তাই। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দীন বলেন, বর্তমানে দেশে রয়েছে ২৩০টি সিনেমা হল। ঈদে মৌসুমি সিনেমা হল হিসেবে খুলবে বন্ধ থাকা অর্ধশতাধিক হল। দুইয়ের অধিক  ছবির জন্য এই সংখ্যা যথেষ্ট নয়। ছবি যদি ভালো হয় ও দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পায় তাহলে হয়তো দ্বিতীয় বা আরও কয়েক সপ্তাহ চালিয়ে কিছুটা পয়সা ঘরে তোলা যাবে। তবে সার্বিকভাবে ক্ষতির মুখেই পড়তে হবে নির্মাতাকে। সাধারণ সময়েই ছবি মুক্তি নিয়ে সিনেমা হল সংকটে পড়তে হয় আর ঈদে বেশি ছবি থাকে বলে এই সংকট আরও তীব্র হয়। রেন্টাল, টেবিল কালেকশন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই আয় থাকে মন্দ। চলচ্চিত্রকার এবং চলচ্চিত্র সমিতিগুলোর কর্মকর্তাদের একটিই দাবি, সিনেমা হল বাড়াতে সরকারের সহযোগিতা চাই। সিনেমা হল বন্ধ রোধ ও শপিং কমপ্লেক্সে সিনেমা হল নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা। নতুন সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে সুদমুক্ত ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা এবং সরকারিভাবে জেলা-উপজেলায় সিনেমা হল নির্মাণ, সরকারি উদ্যোগে সিনেমা হলে ডিজিটাল প্রজেক্টর স্থাপন করা গেলে চলচ্চিত্রের ব্যবসা আবার প্রাণ ফিরে পাবে।

 

সর্বশেষ খবর