মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
আনিসুর রহমান মিলন

দর্শক মূল্যায়ন দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়

শক্তিমান অভিনেতা ও চিত্রনায়ক আনিসুর রহমান মিলন। মঞ্চ, টিভি নাটক আর বড় পর্দায় দারুণ সব চরিত্রে অভিনয় করে ইতিমধ্যে দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সম্প্রতি তার অভিনীত ‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্র নতুন করে তাকে লাইমলাইটে নিয়ে এসেছে। আজ থাকছে তার সমসাময়িক ব্যস্ততা আর বিভিন্ন অজানা কথা নিয়ে আলাপন—

পান্থ আফজাল

দর্শক মূল্যায়ন দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়

কেমন আছেন?

জি, ভালো আছি।

 

কোনো শুটিংয়ে আছেন কি?

এই মুহূর্তে ঈদের জন্য হিমেল আশরাফের একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ে মানিকগঞ্জে আছি। ‘প্রাপক প্রিয় পরী’ নামক এই টেলিফিল্মটি চ্যানেল আইয়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে। আমার বিপরীতে রয়েছে শখ।

   

ঈদের নাটকের কাজে ব্যস্ততা কেমন?

ভালোই! ঈদের জন্য বেশকিছু নাটক ও টেলিফিল্মে কাজ করেছি আর এখনো করছি। এর মধ্যে করেছি আবু হায়াত মাহমুদের একটি এক ঘণ্টার নাটক এবং একটি টেলিফিল্ম। এছাড়াও সোহরাব হোসেন দোদুল, এস এ হক অলিক, সেতু আরিফ ও সকাল আহমেদের একটি করে এক ঘণ্টার নাটক করেছি। আরও কিছু করেছি, এই মুহূর্তে সব মনে পড়ছে না।

 

রাজনীতিতে অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কেমন লাগছে?

আমি মনে করি, বুলবুল বিশ্বাসের ‘রাজনীতি’ ফিল্ম একটা রিওয়ার্ডেড ফিল্ম। কিছু কিছু ছবি করতে গিয়ে আঁচ করা যায় যে, ছবিটি দর্শকদের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে। ছবির সাফল্যের সঙ্গে এক অভিনেতাকে নিয়ে পজিটিভলি সবাই ভাবলে কিন্তু সেই অভিনেতার কনফিডেন্ট অনেক বেড়ে যায়। ভালো-মন্দ বাছাই করেই কিন্তু ফিল্ম করতে হয়। দর্শকদের মূল্যায়ন কিন্তু দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। নিজের প্রতি কনফিডেন্ট বিল্ড আপ করে বহুগুণে।

 

চলচ্চিত্রে বৈচিত্র্যতা নিয়ে আপনি কতটুকু চিন্তা করেন?

আমার চলচ্চিত্রের শুরু কিন্তু দেহরক্ষী সিনেমা দিয়ে। প্রত্যেকটি চলচ্চিত্রে আমার চরিত্র যেন আলাদা রকম হয়, আমি তাই সবসময় করি। আমি দর্শক চাহিদা মাথায় রেখেই কাজ করি এবং ভবিষ্যতেও করতে চাই। বাংলা চলচ্চিত্রে এখন যে দুরবস্থা, আসলে আমি কি করতে চাই, তা এই মুহূর্তে আমার মাথায় নেই। রাজ্জাক স্যার, সালমান শাহ বা মান্না ভাইয়ের সময় চলচ্চিত্রে একটি গতি ছিল; এখন নেই। আসলে মিলনকে দিয়ে কি হবে, কিভাবে উপস্থাপন করতে হবে তা নির্মাতাদেরই ভাবতে হবে।

 

বরাবরই আপনাকে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে দেখা যায়...

আমি প্রথম থেকেই যে কাজ করি, তার সব কাজের মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। আসলে সবাই চ্যালেঞ্জিং ক্যারেক্টার আমায় দেয়। সব ক্যারেক্টার একটা থেকে অন্যটা আলাদা। আমি কখনই ভাবি না, অমুক ক্যারেক্টারটা আমাকে দিতেই হবে। সবাই আমাকে ভিন্নভাবে দেখতে পছন্দ করে।

 

বর্তমানে এফডিসির অবস্থা নিয়ে কিছু বলুন?

যা কিছুই হচ্ছে, ভালো হচ্ছে না। এসব চলচ্চিত্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। সবাই একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। বিভিন্ন পয়েন্ট ও নীতিমালা নিয়ে বসা দরকার। বাংলা সিনেমাকে বাঁচাতে সব সেক্টরের মানুষের অবদান জরুরি। এখনই সবার বাংলা চলচ্চিত্রের সেই হারানো গৌরব রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত।

 

এই দুরবস্থার মধ্যে দর্শক ফিরবে কীভাবে?

বাংলা চলচ্চিত্র সত্যিই এখন একটা দোলাচলের মধ্যে। একটা আনস্ট্যাবল অবস্থার মধ্যে আছে। এই সময় ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যাবল হবে যখন, তখনই ভালো সিনেমা দেখতে দর্শক হলে আসবে।

 

আপনার অন্য ছবি নিয়ে কতটুকু আশাবাদী?

এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। আমার তো ‘সাদা-কালো’, ‘নাইয়র’, ‘রাত্রির যাত্রী’ ছবিগুলো রিলিজের অপেক্ষায়। এসব ছবি রিলিজ হলে তবে বলা যাবে। যখন আসবে তখন এই বিষয়ে বলব।

 

দেশি চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার স্বপ্ন...

একটা সিনেমা একটা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে। ইরান, চীনের মতো দেশ যদি বিশ্বদরবারে তার দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে তবে আমরা কেন নয়? বর্ডার ক্রস করতে হবে। বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়াই আমার স্বপ্ন। আমি সেরকম কিছু একটা করতে চাই।

 

সর্বশেষ খবর