শিরোনাম
বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ ► কুসুম সিকদার

সমালোচনাকে সাধুবাদ জানাই পর্নো বললে আপত্তি

সমালোচনাকে সাধুবাদ জানাই পর্নো বললে আপত্তি

‘নেশা’ গানটি প্রকাশের পর থেকেই নতুন করে আলোচনা-সমালোচনায় উঠে এসেছে কুসুম সিকদারের নাম। গানটির দৃশ্যায়ন নিয়ে আপত্তি ওঠে। গড়ায় মামলা পর্যন্ত। নতুন করে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। এ নিয়ে কথা বলেছেন— শামছুল হক রাসেল

 

কেমন আছেন?

হুম, বেশ ভালো।

 

তাহলে সরাসরি প্রশ্নে চলে যাই। ইউটিউব থেকে নাকি ‘নেশা’ গানটি সরিয়ে ফেলেছেন।

না, বিষয়টি মিথ্যা। ইউটিউবে গানটা এখনো চলছে। সরানো হয়নি। এরপরও কেন এ ধরনের প্রোপাগাণ্ডা হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।

 

আপনি নাকি সেই লিগ্যাল নোটিসের উত্তরই দেননি?

লিগ্যাল নোটিস ওরা যখন পাঠিয়েছিল তখন সেটা তো আর আমার কাছে আসেনি। এসেছিল ইউটিউব চ্যানেল বঙ্গবিডির কাছে, যারা নেশা গানটি অন এয়ার করেছিল। যেহেতু বঙ্গবিডির কাছে এসেছিল তাই তারাই লিগ্যাল নোটিসের উত্তর দিয়েছে। সেটা নিয়ম-কানুন মেনে আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমা  ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই দেওয়া হয়েছে।

 

কেউ কেউ বলছে মামলার বিষয়টি এক ধরনের স্ট্যান্টবাজি...

স্ট্যান্টবাজির প্রয়োজন হয় তখনই যখন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কেউ জনপ্রিয়তা পেতে চায়। আমার সেটার দরকার আছে বলে মনে হয় না। ২০১০ সালে আমার ‘গহীনে শব্দ’ রিলিজ হয়। যেটি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। ২০১২ সালে আমার লালটিপ রিলিজ হয়। এটা তখনকার দিনের কমার্শিয়াল ফিল্মের পাইওনিয়ার ছিল। তারপর ২০১৫-তে গৌতম ঘোষের পরিচালনায় শঙ্খচিল ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে। আমি তো আর নতুন নই। ১৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার পদচারণা শুরুই হয় লাক্স-আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক-’০২ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। আমার শুরুটাই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। ১৫ বছর পর নতুন করে স্ট্যান্টবাজির দরকার নেই।

 

মিউজিক ভিডিওটার বিরুদ্ধে নতুন করে পর্নোগ্রাফির অভিযোগ উঠেছে...

একটি গান বা সিনেমা সবার ভালো লাগবে না। যেটা একজনের ভালো লেগেছে সেটা আমার ভালো নাও লাগতে পারে। এটা আপেক্ষিক। সবার এক জিনিস ভালো লাগবে না। একেকজনের রুচি একেকরকম। এদিক থেকে চিন্তা করলে নেশা একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গিতে একেকরকম লেগেছে। এ আলোচনা বা সমালোচনা বা পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলাকে আমি অ্যাপ্রিশিয়েট করছি, সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু যখন এটাকে পর্নো বলা হচ্ছে বা পর্নোর পর্যায়ে ফেলা হচ্ছে তাতে প্রবল আপত্তি আছে।

 

মামলার ঘটনাটি ধরনের কাজে অন্যসব নতুন কাজে প্রভাব ফেলবে কি?

এ ধরনের বিষয় আসলে যুগ যুগ ধরে হয়েই আসছে। এখন হয়তো ইন্টারনেট থাকার কারণে বা যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে আপডেটেড হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এ ধরনের বিব্রতকর অবস্থা আসলে হয়ে থাকে। আরেকটা কথা, যেটা আমি বলতে চাই সেটা হলো- নতুন কিছু বা প্রথমবারের মতো যখনই যারা কিছু করেছে তাদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এটাই নিয়ম। সুতরাং সমালোচকরা সমালোচনা করবে। এতে বিভ্রান্তির কিছু নেই।

সর্বশেষ খবর