শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

তারকাদের পূজা উৎসব

তারকাদের পূজা উৎসব

উপরে বাঁ থেকে অরুণা বিশ্বাস, কুমার বিশ্বজিৎ বিদ্যা সিনহা মীম, মৌসুমী নাগ
নিচে বাঁ থেকে মৌটুসী বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, চঞ্চল চৌধুরী ও অপর্ণা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সেই উৎসবে মেতেছে আজ সবাই। ঢাকের তালে তালে আনন্দে মেতে উঠেছে পূজামণ্ডপ। দেশের সব পূজামণ্ডপ সেজেছে আড়ম্বর সাজে। সুসজ্জিত প্রতিমাগুলো শোভা পাচ্ছে মন্দিরে মন্দিরে। দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ত্যাগের মহা আহ্বান জানিয়ে শেষ হয় দুর্গোৎসব। পূজাকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা আর ব্যস্ততা থাকে সবার। শারদীয় আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে সেলুলয়েড জগতের রঙিন তারকাদের মাঝেও। লাইট-ক্যামেরা আর অ্যাকশনের ফাঁকে কেমন কাটবে তারকাদের পূজার আনন্দ। সে কথাই বলেছেন কয়েকজন তারকা। তাদের কথা তুলে ধরেছেন— আলাউদ্দীন মাজিদ ও পান্থ আফজাল

 

ঢাকের শব্দ এখনো প্রিয় : কুমার বিশ্বজিৎ

পূজা উদযাপন করি ঢাকাতেই।  শপিংয়ের কাজটা সারেন আমার স্ত্রী। ঢাকের শব্দ এখনো খুব প্রিয়। এ শব্দটি ছোটবেলা থেকেই আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে, তাই ঢাকের শব্দ শুনলেই মন আনচান করে ওঠে। ছোটবেলায় পূজার সময় কাটত ঢোলবাদকদের সঙ্গে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে পড়ে থাকতাম মণ্ডপে। বাড়ির পাশের মন্দিরে যিনি ঢোল বাজাতেন সারা দিন তার সঙ্গে থাকতাম এবং তার দেওয়া খাবার খেতাম, বাসায় যেতাম না। এ নিয়ে অনেক মারও খেয়েছি। এখন কাজের ব্যস্ততায় অষ্টমীর দিন যেতে না পারলে নবমীতে অবশ্যই পরিবার নিয়ে মণ্ডপে যাই। সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব আনন্দ করে কাটাতে চাই।

 

পরিবারের জন্যই পুরোটা সময় : অরুণা বিশ্বাস

সারা বছর ব্যস্ত থাকেন অরুণা বিশ্বাস। তাই এবার আগে থেকেই ঢাকা ও মির্জাপুরে পূজা উদযাপনের কথা ভেবে রেখেছেন। পূজা-অর্চনা আর আনন্দের মধ্যে পরিবারের সঙ্গে একটু একান্তে সময় কাটাতে চান তিনি। ইতিমধ্যে কেনাকাটাও সেরে ফেলেছেন প্রিয়জনের জন্য।

 

কেনাকাটা করেন অর্ধাঙ্গিনী : চঞ্চল চৌধুরী

প্রতিবারের মতো এবারও পূজায় পাবনায় গ্রামের বাড়ি যাব।   গ্রামে বাবা-মা আছেন, তাই সবাই মিলে পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করতে নবমীতে বাড়ি যাচ্ছি। দশমীটা পার করে ফিরব ঢাকায়। শুটিংয়ের ব্যস্ততায় কেনাকাটা করা সম্ভব হয় না। এ কাজটা বরাবরই আমার অর্ধাঙ্গিনী করে থাকেন। নানা ব্যস্ততায় সময় পার হচ্ছে, ঢাকের তালে তালে আগের মতো এখন আর প্রতিমা বিসর্জন দিতে নৌকায় ওঠা হয় না। তারপরও পূজার আনন্দে এতটুকু ছেদ পড়েনি।

 

সপরিবারে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরব : মৌসুমী নাগ  বরাবরই যেমন পালন করেন এবারও সেরকমই পালন করবেন তিনি। তার বাড়ি আশুলিয়ায়। পূজায় সারা দিন সেখানেই সপরিবারে কাটাবেন। ঢাকার আশপাশের অনেক পূজামণ্ডপে ঘুরবেন পরিবার মিলে। বাসায় তার কাছের কিছু অতিথি আসবে, কিছু মিডিয়ার প্রিয় মানুষজন আসবে। তাদের জন্য রান্না করবেন। পূজায় তো নিরামিষ রান্না হয়, তাই সেটাই রান্না করবেন। এভাবেই পূজা কেটে যাবে এবার তার।  

 

আগের মতো ঘুরতে পারি না : অপর্ণা ঘোষ

ছোট পর্দা থেকে শুরু করে ভিন্নধারা—সব জায়গায়ই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের দামপাড়ায়। তিনি ২৫ তারিখ চট্টগ্রাম যাবেন। আগের মতো এখন আর তার তেমন করে পূজামণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা হয় না তার। পূজায় সাধারণত তিনি নিজ এলাকা দক্ষিণ নালাপাড়ায় যান, ঘুরে থাকেন। বরাবরের মতো এবারও পরিবারের সবাই ও অন্য বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। আর রাতে বাড়ির সবার সঙ্গে বাড়ির ছাদে গিয়ে আড্ডা ও গল্পে মেতে থাকবেন। অক্টোবরের ৫ তারিখ তিনি ঢাকায় ফিরে আসবেন।

 

এবার আনন্দটা বেশি হবে : জ্যোতিকা জ্যোতি

পূজায় আলতা পরি। লাল-সাদা শাড়ি পরা আর সিঁদুর দেওয়া খুব প্রিয়। এরই মধ্যে পূজার শাড়ি কিনে এর ছবি ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছি। কোন দিন কখন কি পরব তাও ঠিক করে ফেলেছি। পূজা পরিবারের সঙ্গেই পালন করতে বেশি খুশি লাগে। এবারও পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করব। পাশাপাশি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মণ্ডপে ঘুরে বেড়াব। মনে হচ্ছে, এবারের পূজায় আমার আনন্দটা একটু বেশিই হবে। কেন তার কারণ জানি না। শুধু জানি মন বলছে।

 

সারপ্রাইজ মাটি করতে চাই না : মৌটুসী বিশ্বাস

মিডিয়ায় আসার আগে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামেই পূজা করতাম। এখন ঢাকাতেই করি। শুটিংয়ের জন্য বাড়ি যাওয়ার সময় বের করতে পারি না। কেনাকাটা অবশ্য এরই মধ্যে সেরে ফেলেছি। কী কিনেছি সেটা আগেভাগে বলে মজা নষ্ট করতে চাই না। এ অভ্যাস আমার ছোটবেলা থেকে। আগেভাগে কাউকে কিছু দেখিয়ে সারপ্রাইজ মাটি করতে চাই না।       পূজার প্রতিটা দিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে স্বামী-সন্তান আর বাবা-মাকে নিয়ে বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে বেড়াব। প্রতিবারই এমনভাবে আনন্দঘন সময়টা পার করি।

 

মজার মজার খাবার রাঁধব : বিদ্যা সিনহা মিম

আগে পূজা এলেই গ্রামের বাড়ি রাজশাহী চলে যেতাম। বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়াতাম। এখন শুটিংয়ের কারণে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই প্রায় সময় মন খারাপ থাকে। এরই মধ্যে শপিংটা সেরে ফেলেছি। শাড়ি খুব প্রিয়। সঙ্গে প্রিয় অনেক জিনিস তো কেনা হয়েছেই। সাদা রং খুব প্রিয়। তাই বুঝতেই পারছেন সাদা রঙের কিছু না কিছু তো কেনা হয়েছেই। প্রতিদিন বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে বেড়াব। আর মজার মজার খাবার রাঁধব।

 

যাত্রা-আরতি এখন আর আগের মতো নেই : কিরণ চন্দ্র রায়

গানের মানুষ কিরণ চন্দ্র রায় পূজাতেও গান নিয়েই থাকবেন। ঘুরবেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে। শুধু পূজা বলে কেনাকাটা করেন না কিরণ চন্দ্র। উৎসব এলেই বাজারে ছোটেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছেন পূজার কেনাকাটা। তবে এখন নাকি আর পূজায় যাত্রা-আরতি আগের মতো নেই! পরিবর্তন এসেছে গ্রাম আর শহরের পূজায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর