সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

অনুপ্রেরণাবিহীন কাজ করতে ভালো লাগে না

ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আজ এই গুণী মানুষটির জন্মদিন। অভিনয় ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার আলাপন—

আলী আফতাব

অনুপ্রেরণাবিহীন কাজ করতে ভালো লাগে না

শুভ জন্মদিন। জন্মদিনকে ঘিরে কী কী করছেন?

ধন্যবাদ, আমি আসলে যে পরিবারে বড় হয়েছি, ওই খানে জন্মদিন পালন করা বলে কিছু নেই। তবে আমার স্ত্রী যদি দেশে থাকে তবে ঘরোয়াভাবে এই দিনটিকে পালন করা হয়।

 

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

বর্তমানে আমি ব্যস্ত আমার ব্যবসা নিয়ে। কারণ এখন আমার অভিনয় কিংবা পরিচালনা করতে ভালো লাগে না। আমি এখন এমন কোনো পরিচালক খুঁজে পাই না যে আমাকে নির্দেশনা দিয়ে কাজ করাবেন। ভালো কোনো স্ক্রিপ্ট পাচ্ছি না যে অভিনয় করব। তার থেকে বড় বিষয় হচ্ছে, ভালো কাজের কোনো প্রচারণা নেই। অনুপ্রেরণাবিহীন কাজ করতে ভালো লাগে না। সব মিলিয়ে কাজের কোনো পরিবেশ খুঁজে পাচ্ছি না এখন।

 

এ কথাগুলো কি কোনো ক্ষোভের জায়গা থেকে বলছেন? 

ক্ষোভের কোনো বিষয় নয়। হয়তো এখন দর্শক যে ধরনের নাটক দেখতে চায়, আমি সেই ধরনের নাটক তৈরি কিংবা অভিনয় করতে পাচ্ছি না। আমার কাছে মনে হচ্ছে, এখন এই বিষয়গুলো দেখার কেউ নেই। যে যেভাবে পারছে কাজ করছে।

 

ঠিক একই বিষয় কি সিনেমায় ক্ষেত্রেও?

এখন আপনি সিনেমা নির্মাণ করে কোথায় দেখাবেন? দিন দিন একটার পর একটা সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দু-একটা ছাড়া কোনো সিনেপ্লেক্স নেই। গ্রামের হলগুলো থেকে আপনি সিনেমার পয়সা পাবেন না। আমরা যে কয় টাকা পাই সিনেপ্লেক্সগুলো থেকে। আমার কাছে মনে হয়, নাটক আর চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি এই দুটি প্রতিষ্ঠান দেখার কোনো মানুষ নেই। যদি কেউ থাকত, এগুলোর এত বেহাল অবস্থা হতো না। আমরা জানি কোনো কিছু ধ্বংস হয় নতুন কিছু হওয়ার জন্য। আমি নতুন কিছু করার অপেক্ষায় আছি। তাই একটু চুপ করে আছি।

 

নিজের পরিচালিত নাটকে অভিনয় করতে কেমন লাগে?

অভিনয় আর পরিচালনা একই সঙ্গে আমার কখনই ভালো লাগে না। তবে চরিত্র অনুযায়ী অভিনেতা না পেলে বাধ্য হয়েই করি। আমাদের এই শিল্পে নির্ভরযোগ্য অভিনেতার খুব অভাব।

 

আপনি প্রথমে অভিনেতা পরে নির্মাতা। কাজের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে নির্মাতাদের মধ্যে কতটা পেশাদারিত্ব দেখতে পান?

আমাদের দেশে এখনো নির্মাণ কাজে পুরোপুরি পেশাদারিত্ব তৈরি হয়নি। কাজের পরিবেশটা একজন শিল্পীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন শিল্পী যখন কাজ করবে তখন তার পরিবেশটা যেমন আরামদায়ক হওয়া জরুরি ঠিক তেমনি নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকাটাও বেশ জরুরি। এটা না হলে শিল্পীর জন্য কাজ করা মানসিকভাবে অনেক চাপের হয়ে দাঁড়ায়। সেটা এখনো হয়নি আমাদের দেশে। 

সর্বশেষ খবর