বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বসছে বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল উচ্চাঙ্গসংগীত আসর

আলাউদ্দীন মাজিদ

বসছে বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল উচ্চাঙ্গসংগীত আসর

অবশেষে শ্রোতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলো। ঢাকার মাটিতে বসতে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল আন্তর্জাতিক সংগীতের আসর। প্রতি বছরই ঢাকায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ ক্লাসিক্যাল সংগীতায়োজনে বুঁদ হন সংগীতপ্রেমীরা। এবার এই আসর বসা নিয়ে প্রথমে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও এখন সব চূড়ান্ত। ২৬ ডিসেম্বর থেকে আবাহনী মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ দিনের উচ্চাঙ্গসংগীতের এই জমকালো মহা-আয়োজন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এমনটাই জানালেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও সংগীত উত্সবের উদ্যোক্তা আবুল খায়ের লিটু।

আবুল খায়ের লিটু জানান, ইতিমধ্যে আবাহনী মাঠে অনুষ্ঠান আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এনেছি।

গত পাঁচ বছর ধরে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তায় আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানটি করে আসছি। এবারও একই ভেন্যুতে নভেম্বরে অনুষ্ঠান করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও পরবর্তীতে সরকারি অনুমতি না পাওয়ায় আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হই। তিনি জানান, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি উত্সবের প্রতিবারের ভেন্যু আর্মি স্টেডিয়াম। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে দেওয়া চিঠিতে ভেন্যু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ নভেম্বর ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস তিন দিনের সফরে ঢাকা আসছেন। তার নিরাপত্তার কারণে এবার আর্মি স্টেডিয়াম বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উত্সবের আয়োজনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর এই পাঁচ দিন উচ্চাঙ্গসংগীত উত্সব আয়োজনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। আবুল খায়ের বলেন, সরকার অন্য ভেন্যুতে আয়োজন করার কথা জানিয়েছিল। বিদেশি শিল্পীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অন্য ভেন্যুতে আয়োজন করার ঝুঁকি নিইনি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এ উত্সবের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিকল্পনা সারতেই আট মাস সময় লাগে। নিবিড়ভাবে সবদিক সমন্বয়ের পর পরিকল্পনা পরিবর্তন বা সংকোচন সম্ভব হয় না। উত্সবের পাঁচ বছরে যে চরিত্র দাঁড়িয়েছে, পরিবর্তন করলে তা বিপন্ন হবে। তবে এবার সরকার অন্য ভেন্যুতে এ উত্সব করলে সার্বিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় আবাহনী মাঠে অনুষ্ঠানটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তা ছাড়া অনুষ্ঠান স্থগিত করায় শ্রোতারা চরম হতাশ হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত তাদের কথা চিন্তা করে উত্সব আয়োজনের এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। সরকারের পাশাপাশি বেঙ্গলের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষীরাও অনুষ্ঠানে আগত শিল্পী ও অতিথিদের নিরাপত্তা বিধানে সক্রিয় থাকবে বলে জানান তিনি। 

এ জন্য এখন থেকে মাঠের আশপাশে অনুষ্ঠানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি ও যথাযথ প্রটেকশনের ব্যবস্থা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সবাই। আবুল খায়ের লিটু বলেন, রি-অ্যারেঞ্জমেন্ট সত্ত্বেও আগের প্রায় সব আন্তর্জাতিক ও দেশীয় শিল্পীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ভেন্যু পরিবর্তন হলেও জৌলুসের কোনো ঘাটতি হবে না বলেও জানান তিনি। ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে রাতব্যাপী প্রতিদিন ১১ ঘণ্টা শ্রোতারা মহাআনন্দে উপভোগ করবেন উচ্চাঙ্গসংগীতের এই মহাযজ্ঞ। আবুল খায়ের লিটু জানান, চলতি সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আয়োজনের বিস্তারিত সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর