রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
শাকিব-অপু দ্বন্দ্ব

পরস্পরের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

পরস্পরের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

শাকিব খান-অপু বিশ্বাস। ঢালিউডের দুই শীর্ষ তারকা। ভালোবাসার বিয়ে আর সন্তান হলেও তাদের সম্পর্ক মোটেও সুখকর নয়।  তাদের মন্দ সম্পর্কের সবশেষ বারুদ- শুক্রবার সন্তান আবরাম খান জয়কে বাসায় নিজের সহকারীর কাছে রেখে হঠাৎ কলকাতায় অপুর উড়াল দেওয়া। বিষয়টি শাকিব জানার পর সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে এখন বেশ উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে শাকিব আর অপুর পরস্পরের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

অপুর খেয়াল খুশির শিকার আমি : শাকিব

অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই লক্ষ্য করলাম সে তার খেয়াল খুশি মতো চলছে। কোনো বিষয়ে স্বামী হিসেবে আমার মতামত বা অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। ২০১০ সালে এক নায়কের সঙ্গে তাকে হাতেনাতে ধরার পর সে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিই। এটাই ছিল আমার বড় ভুল। তখনই তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলে আজ আমাকে এমন মানসিক যন্ত্রণায় পড়তে হতো না। সে আমার কথা না শুনেই কলকাতায় সন্তান ভূমিষ্ঠের জন্য চলে যায়। তাকে কখনো আর্থিক বা অন্য কোনো কষ্ট আমি দিইনি। সন্তান ও তার ভরণপোষণের খরচ নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছি। এরপরও সে আমার অনুমতি ছাড়া যখন যেখানে খুশি চলে যায়। অথচ অর্থের প্রয়োজন হলে ঠিকই আমার কাছে লোক পাঠায়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়াসহ নানাভাবে সে তার লোকজন দিয়ে বিভিন্ন সময় আমাকে হেনস্তা করেছে।

১০ এপ্রিল টিভি চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে যাওয়ার আগের দিনও আমার সঙ্গে সে ঘুরে বেড়িয়েছে। আমার কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। পরদিনই আমার সঙ্গে এমন বিশ্বাসঘাতকতা সে কীভাবে করতে পারল বুঝতে পারছি না। আমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ছবির কাজে থাইল্যান্ডে ছিলাম। আমার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল ২১ নভেম্বর। কাজ দ্রুত শেষ হওয়ায় ১৭ তারিখ রাতে আমি ফিরে আসি। সন্তানের জন্য আনা খেলনাসমাগ্রী দিতে এসেই আমি ওর সহকারী শেলীকে ফোন দিতে থাকি। ওইদিন রাত থেকে পরদিন বিকাল পর্যন্ত সে আমার ফোনকল রিসিভ করেনি। অপু কলকাতায় চলে গেছে মর্মে সন্ধ্যায় যখন বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হয় তখন শেলি আমাকে ফোন করে জানায় বাথরুমে পড়ে গিয়ে সে আঘাত পেয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য কলকাতা গেছে। আমি তখন বাচ্চার কথা জিজ্ঞেস করলে শেলি বলে বাচ্চা তার কাছে আছে। আমি বাচ্চা দেখতে আসছি বললে সে জানায় অপু দরজায় তালা দিয়ে চাবি নিয়ে গেছে। এ কথা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। একজন কাজের মেয়ের কাছে বাচ্চা রেখে দরজায় তালা দিয়ে কোনো মা কী বিদেশে চলে যেতে পারে? বাচ্চার কোনো ক্ষতি হলে তার দায়-দায়িত্ব কে নেবে? আমি তার নিকেতনের বাসায় গেলে ভিতর থেকে শেলি আবারও জানায় তার কাছে চাবি নেই। অপু তালা মেরে চাবি নিয়ে গেছে। বাসার আশপাশের লোকজন বলছে অপু বেশিরভাগ সময় বাচ্চাকে এভাবে কাজের লোকের কাছে রেখে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায় এবং গভীর রাতে ফেরে। এসব কথা শোনার পর বাচ্চার নিরাপত্তা নিয়ে আমি এখন খুব উদ্বিগ্ন। সবার কাছে আমার প্রশ্ন এমন একজন স্বেচ্ছাচারী নারীর সঙ্গে কীভাবে আমি সংসার করব।

আমার প্রতি অবিচার করা হচ্ছে : অপু

অপু বিশ্বাস বরাবরই বলে আসছেন শাকিব খান ইচ্ছে করেই তার বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন। একজন উঠতি নায়িকার সঙ্গে শাকিবের বিশেষ সম্পর্কের কথা কানে আসায় তাকে বারণ করেছিলাম সে যেন ওই নায়িকার সঙ্গে আর কাজ না করে। কিন্তু সে আমার কথায় কর্ণপাত করেনি। আমি তার অনুরোধে তার ক্যারিয়ার রক্ষায় আমাদের বিয়ে আর সন্তানের কথা দীর্ঘদিন গোপন করেছি। কিন্তু সে আমাকে যথাযথভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়নি। তাকে ভালোবেসে নিজের ধর্ম পর্যন্ত ত্যাগ করেছি।

আর এখন সে নানা অজুহাতে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার চক্রান্ত করছে। একজন সংখ্যালঘুর ওপর এমন অন্যায়ের বিচার আমি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইব। তারপরও তার কোনো অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নেব না। অপু জানান, তিনি ঘরের দরজায় তালা মেরে আসেননি। ভিতরে থাকা শেলির কাছে চাবি আছে।

সর্বশেষ খবর