মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ - এটিএম শামসুজ্জামান

প্রাপ্তির হিসাব কখনো মিলিয়ে দেখিনি

শোবিজ প্রতিবেদক

প্রাপ্তির হিসাব কখনো মিলিয়ে দেখিনি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। খল এবং কৌতুক,  চরিত্রে সার্থক তিনি। পেয়েছেন দর্শকের ভালোবাসা এবং জাতীয় পুরস্কার। ছোট পর্দাতেও সমান জনপ্রিয় তিনি। গতকাল ছিল তার জন্মদিন। এসব বিষয় নিয়ে আজ তার সাক্ষাৎকার—

   

গতকাল ছিল আপনার ৭৭তম জন্মদিন, দীর্ঘ এই জীবনে প্রাপ্তি কেমন?

প্রাপ্তির হিসাব তো কখনো মিলিয়ে দেখিনি, আমি আমার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি কখনো কারও সাহায্যের ধার ধারিনি। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে পথ চলেছি। আগামীতেও এই বিশ্বাসে ভর করে পথ চলব। আমার ভিতরে যত দিন বিশ্বাস থাকবে ততদিন অপ্রাপ্তি বলে কিছু থাকবে না

 

জন্মদিনটি কীভাবে পালন করলেন?

হা...হা...হা... এই বয়সে আবার জন্মদিন পালন কি করা যায়? পরিবারের সবাই ভালোমন্দ রান্না করে। আমাকে সবাই ফোনে আর বাসায় এসে উইশ করে। ভালো লাগে। কিন্তু যখন ভাবি জন্মদিন মানে জীবন থেকে একটি বছর মাইনাস হয়ে যাওয়া ধীরে ধীরে মৃত্যুর কাছাকাছি হওয়া তখন মনটা খারাপ হয়ে যায়।

 

একাধিকবার আপনার মৃত্যুর গুজব রটেছে, বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

বেঁচে থাকতে নিজের মৃত্যুর খবর শোনার মতো এতবড় কষ্টের ব্যাপার আর কী হতে পারে। শুধু আমার নয় পরিবারের অন্যদের মনের অবস্থা কী হয়? যারা এ কাজটি করে তাদের ভেবে দেখতে বলব তাদের সম্পর্কে এমন গুজব রটলে তার ও তার পরিবারের মানুষের মনের অবস্থা কী হবে?

 

চলচ্চিত্র আপনাকে কতটুকু পূর্ণতা দিয়েছে?

শতভাগ পূর্ণতা দিয়েছে। না হলে আজ আমি এটি এম শামসুজ্জামান নামে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হতাম না। অভিনয়ের কারণেই মানুষ আজ আমাকে চিনে। আমার অভিনয় শুরু হয়েছে চলচ্চিত্র দিয়ে। তাই নিঃসন্দেহে চলচ্চিত্র আমাকে শতভাগ পূর্ণতা দিয়েছে।

 

বর্তমান সময়ের এফডিসিকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

এফডিসিতে এখন চলচ্চিত্রের কাজ তেমন হয় না, তাই আসাও হয় না। কেউ মারা গেলে জানাজা পড়তে আসি। কালেভদ্রে কাজ থাকলে এখানে আসা হয়।  এফডিসিতে কাজ করতে ভালো লাগে। এফডিসি হলো শিল্পীদের প্রকৃত ঠিকানা। নিজের বাড়ির মতো। কিন্তু দুঃখ, এখন এমনিতেই ছবি নির্মাণ কমে গেছে। তার ওপর যা কাজ হয় সবই এফডিসির বাইরে। এভাবে চললে এফডিসি টিকে থাকবে কী করে।

 

চলচ্চিত্রে যারা নতুন আসছে তাদের জন্য আপনার  পরামর্শ কী?

তাদের বলব অভিনয় শিখে আস, বাংলা ভাষাটা ঠিকভাবে শিখ। কারণ আমরা বাঙালি, আর আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। তাই নিজের ভাষাকে বিশ্ব দরবারে যথার্থভাবে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। নতুনদের বলব বিশেষ করে ধ্বনিতত্ত্বটার দিকে সবাইকে জোর দিতে হবে।

 

আপনার পছন্দের খাবার কী?

আমি টাকি মাছের ভর্তা খাই, কালিজিরার ভর্তা খাই, চ্যাপা শুঁটকি দিয়ে বেগুন আমার খুব প্রিয়। আর সবজি। এগুলো আমার পছন্দের খাবার। সব ধরনের মাংস আমি পারতপক্ষে এড়িয়ে চলি। ঈদ এলে এক টুকরা মুখে দেই। মা চমৎকার রান্না করতেন। মায়ের হাতের রান্না এখনো মিস করি। খাবার ছাড়া অন্য জিনিসের মধ্যে জুতার প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে। ঈদে জামা না হলেও চলত, কিন্তু নতুন জুতা না হলে ঈদ অপূর্ণ থেকে যেত। বায়না ধরে বাবার কাছ থেকে নতুন জুতা আদায় করতাম।

 

সর্বশেষ খবর