‘ডুগডুগি’ ধারাবাহিকের ১০০তম পর্বের জার্নি কেমন ছিল?
নিজের কাছেই ভালো লাগছে যে মাসুদ সেজানের মতো একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। অন্যদিকে এনটিভি বরাবরই তাদের একটা লেভেল বজায় রেখেছে। মাসুদ সেজানের একটা আলাদা স্টাইল আছে। তার টিম অনেক প্রফেশনাল, শুটিংয়ে পরিবেশ থাকে চমৎকার।
এই নাটকে আপনার চরিত্র বিষয়ে জানতে চাই...
এখানে আমি একটি সামাজিক ব্যাধি নিরাময় কেন্দ্রে কাজ করি। আমাদের সমাজে প্রচুর সামাজিক ব্যাধি রয়েছে। আমরা মনে করি, মানুষের অসুখ তিন প্রকার-শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক। প্রথম দুটি রোগের প্রতিকারের ব্যবস্থা থাকলেও সামাজিক ব্যাধির কোনো কার্যকর প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করা যায়নি। এই ব্যাধিটি নিয়েই আমরা কাউন্সিলিং করি।
কাজ করতে গিয়ে মজার কোনো স্মৃতি আছে যা মনে পড়ছে?
অনেক মজার স্মৃতি রয়েছে। মাসুদ সেজান-এর কাজ মানেই স্যাটায়ার। তার কাজ করতে গিয়ে টেকের আগে রিহার্সেল করতে হয় অনেকবার। কারণ সবকিছুই তার পারফেক্ট চাই। মাঝে মাঝে তাই রিহার্সেল বা শটের মধ্যে আমরা সবাই খিলখিল করে হাসি। তবে তার কাজ করি রিলাক্সে। আড্ডা দিই, মজা করি।
আর কী কী কাজ করছেন?
বিটিভিতে আলভী আহমেদের ‘দ্য জেনারেশন’, বাংলাভিশনে মাসুদ সেজানের ‘খেলোয়াড়’, দুরন্ত টিভিতে ‘পঞ্চভূজ’, নাগরিকে ‘শ্বশুরালয়-মধুরালয়’ সিরিয়াল করছি।
এত সিরিয়াল কেন, সিঙ্গেল নাটকে কাজ করছেন না?
ঈদের সময় ছাড়া সিঙ্গেল করা হয় না। একক নাটকে বয়স একটা ফ্যাক্ট। এই গ্রুপেই তো পড়ি না!
নতুন কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন?
চলচ্চিত্রে আগ্রহ হয় না। তবে চরিত্র মনের মতো হলে সেটা যদি ৩-৪ মিনিটেরও হয় করতে রাজি আছি। আগে তো চলচ্চিত্রে কাজ করেছি।