মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

আমি চরম লেভেলের সিনেমাখোর

আমি চরম লেভেলের সিনেমাখোর

জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাজনীন হাসান চুমকী। মঞ্চ, টিভিপর্দা ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে তার দীপ্ত উপস্থিতি। ‘ঘানি’ চলচ্চিত্রের জন্য অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বর্তমানে তিনি মঞ্চনাটক, ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত। অভিনয় ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন— পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? কি করছেন?

অনেক ভালো আছি। এখন বাসায় শুয়ে সিনেমা দেখছি; ভৌতিক সিনেমা ‘কনজুরিং’। আমি কিন্তু চরম লেভেলের সিনেমাখোর। যতক্ষণ দেখি একসঙ্গে ৪-৫টি দেখে ফেলি। বেশির ভাগ সিনেমা রাতে দেখা হয় না, দিনে দেখি। অবসরে সকাল ১০টা থেকে দেখা শুরু করি।

 

টিভি নাটকে এখন কাজের ব্যস্ততা কেমন?

আছে মোটামুটি। কিছু সিরিয়ালে নিয়মিত কাজ করছি। দুরন্ত টিভির জন্য ‘ব-তে বন্ধু’, রুলিন রহমানের ‘ভালোবাসা কারে কয়?’, আরটিভির ’বাবর আলীর রিটার্ন’ সিরিয়ালে কাজ করছি। এছাড়াও বিটিভির জন্য মাসুম রেজা ও অয়ন চৌধুরীর লেখায় আলভী আহমেদের ‘দ্য জেনারেশন’ সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করছি। 

 

শুধুই কি সিরিয়ালে? একক নাটক করছেন না?

ঈদের মধ্যে কিছু করেছিলাম। এরপর করা হয়নি। সিঙ্গেল নাটকের অফার কম আসে।

 

কম আসে কেন?

এটা নাটকের ডিরেক্টররাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি মনে করি, বাজেট মূল ফ্যাক্টর, বয়স নয়। বিটিভিতে অনেক ক্যাটাগরি থাকলেও অন্যখানে নেই। আসলে এখন তো ইউটিউব ভিউ দেখে নাটকের আর্টিস্ট নির্ধারিত হয়। যাদের ভিউ বেশি তারা জুনিয়র হলেও অধিক বাজেটেও তাদের কাস্ট করে চ্যানেল, প্রযোজক, এজেন্সীি বা ডিরেক্টররা।

 

মঞ্চে কি নিয়মিতই দেখা যাবে?

আমি কিন্তু নিয়মিতই মঞ্চ করছি। সাধনার ব্যানারে সায়মন জাকারিয়ার লেখা আর আমার নির্দেশনায় ‘সীতার অগ্নিপরীক্ষা’য় আমি সলো পারফর্মেন্স করি। আবুল হায়াতের লেখা এবং রহমত আলীর নির্দেশনায় ‘সূচনা’ নামেও একটি করি। আর মাসুম ভাইর নিত্যপুরাণে দ্রৌপদী চরিত্র আগে থেকেই করতাম। মাঝে একটু গ্যাপ ছিল। এরপর দেশনাটকের ৭৫তম শোর বিশেষ প্রদর্শনীতে আমি, সুষমা, বন্যা আর মনি আপু-চারজন মঞ্চে একসঙ্গে কাজ করলাম।

 

আবারও চার দ্রৌপদীকে একসঙ্গে দেখা যাবে?

তেমন নয়। ৭৫তম বিশেষ প্রদর্শনী ছিল তাই। ১২ অক্টোবর নিত্যপুরাণের প্রদর্শনী রয়েছে।

 

‘চিত্রাঙ্গদা’ নিয়ে ভিন্নরূপে মঞ্চে আসছেন...

লুবনা আপার ডিজাইনে ১২ অক্টোবর ৩ জন চিত্রাঙ্গদাকে মঞ্চে দেখা যাবে। গানে, নৃত্যে আর পাঠের চিত্রাঙ্গদারূপে ৩ জন আবির্ভূত হবে। আমি মঞ্চে আসছি পাঠের চিত্রাঙ্গদা হয়ে।

 

আগের মতো উপস্থাপনায় কেন দেখা যাচ্ছে না?

করছি না তাই। আর চ্যানেলও তেমন করে ডাকছে না।

 

চলচ্চিত্রেও অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন...

তা নয়। এ পর্যন্ত চারটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। ‘ঘানি’ চলচ্চিত্রের জন্য পেয়েছি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর অনেক গ্যাপ। তবে সামনে ধ্রুব হাসানের ‘দাহকাল’ আসছে।

 

অভিনয়শিল্পী সংঘের কার্যক্রম নিয়ে কি সন্তুষ্ট?

আমি ভীষণ সন্তুষ্ট। অল্প সময়ে তারা অসাধারণ কিছু কাজ করেছে। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আর্টিস্ট তার সব কথা বলতে পারে।

 

জীবন নিয়ে উপলব্ধি কি?

অসাধারণ! আর এখন আরও দুজনকে নিয়েই আমার জীবন। কি বুঝতে পারছেন, সেই দুজন কে? আরে... আমার পরিবারের সদস্য দুই কুকুর! আগে আমার এই কুকুরপ্রীতি কিন্তু ছিল না। সে এক অন্য কাহিনী। আমার কারণে নাকি জামাইয়ের আগের আদরের বিড়াল সেই যে বাসা থেকে চলে যায়; আর ফিরে আসেনি!

তাই এই দুটি চাঁদনীর কাছ থেকে নিয়ে জামাইকে গিফট করেছি।

সর্বশেষ খবর