শনিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মধুর বসন্তে মাহি

আলাউদ্দীন মাজিদ

মধুর বসন্তে মাহি

এর আগে এমন ঘটনা শুধু শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের ক্ষেত্রেই ঘটেছে। এমন মন্তব্য করে নির্মাতা খোকন বলেন, ঈদে একসঙ্গে দুই বা একাধিক ছবি মুক্তি পায় কেবল শাকিব খানের। এবার শাকিবের পথে হাঁটলেন মাহিয়া মাহি। গেল ঈদে তার দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ‘জান্নাত’ ও ‘মনে রেখো’। এবার এক মাসে একাধিক ছবি মুক্তির ক্যারিশমাও দেখাতে যাচ্ছেন এই উচ্ছল নায়িকা। গতকাল মুক্তি পেল মাহি অভিনীত ‘পবিত্র ভালোবাসা’ আর ১৯ অক্টোবর মুক্তি পাবে বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ছোটপর্দার জনপ্রিয় নায়ক ডি এ তায়েবের সঙ্গে মাহি অভিনীত ‘অন্ধকার জগত’ ছবিটি। মানে মাহির ক্যারিয়ারে এখন আবার মধুর বসন্তের হাওয়া লেগেছে। ২০১৩ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে বড় পর্দায় আসা মাহির এ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া ছবির সংখ্যা ২১টি। এর মধ্যে রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি ধার্মিকসহ সব ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করা হয়ে গেছে তার। শীর্ষ নায়ক শাকিব খান থেকে শুরু করে ঢাকার প্রায় সব নায়ক এবং কলকাতার সোহম, ওম, বনির সঙ্গেও পর্দায় জুটি বেঁধেছেন মাহি। ২০১৩ সাল থেকে রুপালি পর্দায় দাঁড়ি-কমা ছাড়াই সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মাহি। ২০১৫ সালে বিয়ে আর প্রেমের গুঞ্জনে অনেকে ভেবেছিলেন এবার বুঝি মাহির ক্যারিয়ারে ছেদ পড়ল। সেই ধারণা মিথ্যা করে দিয়ে ছবির জগতে আকাশ পাতাল ব্যস্ততা নিয়ে আবার ফিরলেন মাহি। মানে আবারও মাহির ক্যরিয়ারে ধরা দিল মধুর বসন্ত। এখন মাহির হাতে রয়েছে নয়টি ছবি। এগুলো হলো—অন্ধকার জগত, প্রেমের বাঁধন, গোলাপতলীর কাজল, তুমি আমার সুন্দরী, দুরন্ত মেঘলা, অবতার, আনন্দ অশ্রু, মন দেব মন নেব, জান্নাত টু।  এই তো গেল মাহির ছবির খবর। বড় পর্দার বাইরে বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পাশাপাশি একটি ফ্যাশন হাউসও খুলতে যাচ্ছেন তিনি। তার ফ্যাশন হাউসের নাম ‘ভারা’। মাহির কথায় ‘এটি আমার স্বপ্নের প্রজেক্ট।’ মাস তিনেক আগে অসচ্ছল বেশ কয়েকজন মহিলাকে সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছিলেন। ওই মহিলারা পোশাক তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারছিলেন না। তখন নতুন ভাবনা আসে মাহির মাথায়। নিজেই তাদের কাছ থেকে পোশাক কিনে নেবেন। আর তা বাজারজাত করতে নিজেই ফ্যশন হাউস খুলবেন। হাউসের নাম দিলেন ভারা। উত্তরায় প্রতিষ্ঠিত ফ্যাশন হাউসের সাজসজ্জার কাজও শেষ। এখানে সুবিধাবঞ্চিত মেয়েরাই কাজ করবে।  ছবির মধ্যে নিজের কাছে ভালোলাগার কাজ হলো—ভালোবাসার রঙ, অগ্নি, পোড়ামন, অনেক সাধের ময়না, জান্নাত আর অন্ধকার জগত।

অবসরে লং ড্রাইভ মাহির পছন্দ। সঙ্গে রোমান্টিক গান। লং ড্রাইভে সঙ্গী ছাড়া যেতে পছন্দ করেন তিনি। মাহির আনন্দঘন মুহূর্ত এমন— ‘মাঝেমধ্যে বোরখা পরে সিনেমা হলে যাই। যখন দেখি সবাই সিনেমাই দেখছে, গল্প করছে না বা ফোনে ব্যস্ত নেই তখন খুব ভালো লাগে। যদি দেখি সিনেমায় যে দৃশ্যে কেঁদেছি তা দেখে দর্শক হাসছেন তখন খুব খারাপ লাগে। আমার কান্না দেখে লোকের হাসি পেলে বুঝতে পারি অভিনয়টা ঠিক করে করতে পারিনি। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়!...’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর