গাড়ির হর্নের শব্দ শোনা যাচ্ছে! কোথায় যাচ্ছেন?
আমি আর আম্মু গাড়িতে এখন। দহন ছবির কাজে জাজে যাচ্ছি।
দহন ছবির শুটিং তো শেষ...
শুটিং শেষ, তবে ডাবিং বাকি রয়েছে। তাই আমার ডাবিং কমপ্লিট করতে জাজে যেতে হচ্ছে। শেষ হয়ে গেলেই ব্যস! এরপর ধুমছে প্রমোশনাল ক্যাম্পেইনে নেমে পড়ব।
দহন ছবিটি কেমন হয়েছে?
পোড়ামন-টু ছবিতে দর্শকের কাছ থেকে যেমন অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, তেমনি চাই দহন ছবিটাও দর্শক সাদরে গ্রহণ করুক। তাই নির্মাতা রায়হান রাফি, সিয়াম, দহন টিম আর বিশেষ করে জাজ আগের চেয়ে অনেক বেশি যত্নবান এই ছবি নিয়ে। পোড়ামন-টু থেকে দহন যে ছাড়িয়ে যাবে তা জোর দিয়ে বলতে পারি। এটি ভালো গল্পের, ভালো নির্মাণের , দর্শকপ্রিয় জুটির একটি সমসাময়িক ধাঁচের ছবি। ভালো না হয়ে কি পারে!
দহন ছবিতে আপনার চরিত্রের গুরুত্ব কতটুকু?
আগের ছবিতে যেমন কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছি, এই ছবিতেও আমি সিয়ামের নায়িকা। নেশাগ্রস্ত, বখাটে ছেলে হারামি তুলা নামের সিয়ামের প্রেমিকা আশা হিসেবে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন। যে কিনা একজন সাধারণ গার্মেন্টস কন্যা। গল্পে তুলা ভালোবাসে আশাকে আর আশা ভালোবাসে তুলাকে।
সিয়ামের সঙ্গে পর্দার বাইরে কেমিস্ট্রি কেমন?
প্রথম থেকেই সিয়ামের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া ভালো। সিয়ামের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় জাজের অফিসে। এরপর থেকেই সে আমাকে, আমার আম্মুকে আপন করে নিয়েছে। সে অনেক ফ্রেন্ডলি, অনেক বেশি সহযোগিতাপরায়ণ। অভিনয় করতে গিয়ে মনে হয়েছে তার সঙ্গে আমার কেমিস্ট্রি ভালো। দর্শকও আমাদের জুটিকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে দুজনের মধ্যে কেমিস্ট্রি ভালো বলে।
অভিনয় করতে গিয়ে কখনো মনে হয়েছে যে, সিয়ামকে আপনি বাস্তবিকই ভালোবেসে ফেলেছেন?
একদমই না! এই বিষয়টা কখনোই কাজ করে নাই। তাহলে তো আর অভিনয়ই করতে পারতাম না। সে আমার ভালো বন্ধু; রঙিন পর্দায় আমার হিরো, বাস্তবে নয়। আমি সব সময় খেয়াল রাখি, সিয়াম-পূজা জুটির রসায়ন দর্শক পর্দায় দেখতে চায়। সেভাবেই আমরা অভিনয় করে যাব।
তাহলে কি পূজার জীবনে প্রেম আসেনি?
প্রেম নিয়ে আমি কখনোই ভাবি না। তবে প্রেম বলতে আমি এখন বুঝি পড়াশোনা আর অভিনয়।
আরেকটি ছবি ‘প্রেম আমার টু’-এর কী অবস্থা?
এটি যৌথ প্রযোজনার ছবি। রাজ চক্রবর্তী ও বিদুলা ভট্টাচার্য্যের নির্মাণে এটিতে আমার বিপরীতে রয়েছেন কলকাতার আদৃত। শিলিগুড়ি, কলকাতা আর বাংলাদেশে শুটিং হয়েছে। জানা মতে, এটি সামনের বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি দেওয়া হবে।