শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সুস্মীর প্রত্যাশা

শোবিজ প্রতিবেদক

সুস্মীর প্রত্যাশা

ছবি : রাফিয়া আহমেদ

বড় পর্দায় অভিষেক ঘটল সুস্মী রহমানের। গতকাল মুক্তি পেল তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘আসমানী’। পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের কবিতা ‘আসমানী’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছেন এম সাখাওয়াৎ হোসেন। প্রথম ছবির অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে সুস্মী বলেন, বড় পর্দায় অভিনয়ের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। আমার ধারণা সব শিল্পীরই স্বপ্ন থাকে বড় পর্দায় অভিনয়ের। আমারও প্রবল আগ্রহ ছিল। সাখাওয়াৎ ভাই [ছবির পরিচালক] আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করে দিলেন। এক কথায় আমি খুব হ্যাপি। সুস্মীর কথায় এ ছবিতে কাজের সুযোগটিও ছিল দারুণ, ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি। মানে আমিই আসমানী। আর আসমানীর জীবন-যন্ত্রণার চিত্র ফুটে উঠেছে চারটি চরিত্রের মাধ্যমে। আমাকে একাই চার চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে। একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো মিল নেই। দর্শক বুঝতেই পারবে না চারজনই সুস্মী। এখানেই আমার কাজের সার্থকতা। ছবির শুটিংয়ে ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন এই তন্বী নায়িকা। তিনি বলেন, প্রথম দিন ছিল এই ছবির নায়ক বাপ্পীর সঙ্গে একটি রোমান্টিক গানের সিকোয়েন্স। প্রথম দিনই অন্তরঙ্গ দৃশ্যে কাজ করতে হল। তবে এক্ষেত্রে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। কারণ আগেই তো ছোট পর্দার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে ছিল। আর যখন নায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে যাই তখন নিজেকে আর সুস্মী ভাবিনি, আসমানীকে নিজের মধ্যে পুরোপুরি ধারণ করে নিই। ব্যাস, এতেই কাজটা আমার জন্য সাবলীল হয়ে যায়। ছবিটির দর্শকগ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সুস্মী শতভাগ আশাবাদী। কারণ একদিকে প্রখ্যাত কবি, পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের আসমানী কবিতার ছায়া অবলম্বনে ছবিটির গল্প গড়িয়েছে। একই সঙ্গে নির্মাতা আর এই ছবির প্রতিটি শিল্পী আর কলাকুশলীর চেষ্টা ছিল সেরা কাজটি উপহার দেওয়ার। এ চেষ্টায় কোনো খুঁত ছিল না। একটি অন্যরকম গল্পের প্রকৃত ছবি হয়েছে আসমানী। ছবিটি দর্শক বার বার দেখবে বলে আমার প্রত্যাশা। দর্শকের কাছেও আমার অনুরোধ, আপনারা সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন, কথা দিতে পারি হতাশ হবেন না। আসমানীকে আপনাদের মনের মণিকোঠায় ঠাঁই দিতেই হবে বলে আমার বিশ্বাস।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর