বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

নাম আমার মিশা নেগেটিভ কথা পছন্দ করি না

নাম আমার মিশা  নেগেটিভ কথা পছন্দ করি না
নাম আমার মিশা, আমি নেগেটিভ কথা পছন্দ করিনা...না...না...না...ঢিশুম (একটি গুলির আওয়াজ, লুটিয়ে পড়ে তার সামনে দাঁড়ানো লোকটি)। ঢাকাই চলচ্চিত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী খলনায়ক মিশা সওদাগর। তিন দশকে এমন জনপ্রিয় খলনায়ক আর পাওয়া যায়নি। বাস্তবে চমৎকার ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সদালাপী, অমায়িক, ধর্মপরায়ণ, মানবহিতৈষী ও বন্ধুপ্রিয় এই অভিনেতার মুখোমুখি হয়েছেন —আলাউদ্দীন মাজিদ

 

গত বছর হঠাৎ করে কাজ কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন, কেন?

আমি চাই ছোট-বড় যে ক্যারেক্টারই হোক স্ক্রিপ্টটা যেন ভালো হয়, যাতে দর্শকদের খুশি করতে পারি। তাছাড়া ভেরিয়েশন ছাড়া কাজ করতে ইচ্ছা

করে না।

 

এ মুহূর্তে ব্যস্ততা কেমন?

প্রায় এক ডজনেরও বেশি ছবির কাজ নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছি।  উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- একটি প্রেম দরকার, শাহেন শাহ, দলিল, প্রেমের বাঁধন, অবতার, রাগী, অন্ধকার জগত, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, দেশ নায়ক ইত্যাদি। নতুন কিছু স্ক্রিপ্ট বাছাই করছি। শিগগিরই মুক্তি পাবে ‘অন্ধকার জগত’ ছবিটি। এখানে জনপ্রিয় অভিনেতা ডি এ তায়েবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুখোড় কাজ করার চেষ্টা করেছি। গল্প, নির্মাণ আর অভিনয়গুণে ছবিটি নিঃসন্দেহে দর্শকমন কাড়বে।

 

হঠাৎ বাছাই কেন?

দেখুন, মনে রাখতে হবে দর্শক কি এক্সপেক্ট করে। এক সময় দেখলাম কাজগুলো প্রায় এক ধরনের হয়ে যাচ্ছে। এতে দর্শকের কাছে বিরক্তির কারণ হচ্ছে। প্রায় তিন দশকে নয়শর মতো ছবিতে কাজ করেছি। এখন দর্শকের রুচিকে প্রাধান্য দিতেই স্ক্রিপ্ট, ক্যারেক্টার আর ডিরেক্টর বাছাই করে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 

আপনি শীর্ষ খলনায়ক, শাকিব খান শীর্ষ নায়ক, দুজনের কেমিস্ট্রি কেমন?

নির্মাতা আর দর্শকের পছন্দে দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের একসঙ্গে দেখতে দর্শক ছবিঘরে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। আমাদের রসায়নটা খুব সুন্দর। যে ছবিতে শাকিব আর আমি থাকি, সে ছবিতে নায়িকার প্রয়োজন হয় না। এটি দর্শকের মন্তব্য। অনেক ছবিতে আমার ক্যারেক্টার শাকিবকে ছাড়িয়ে উন্নত মাত্রা পায়। যেমন ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘ক্যাপ্টেন খান’। আমার বিশ্বাস আমি আর শাকিব মিলে চলচ্চিত্র শিল্পকে দাঁড় করাতে সক্ষম হব।

 

পর্দা আর বাস্তবের মিশার মধ্যে পার্থক্য কি? 

যখন অভিনয় করি তখন আমি শতভাগ পেশাদার মানুষ। পর্দায় আমি মিশা সওদাগর, বাস্তব নাম শাহিদ হাসান। শাহিদ হাসান কিন্তু এরকম পেশাদার নয়। এখানে ইমোশন কাজ করে, ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে পছন্দ করি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরুর দুধের চা খাই। হজ করেছি। নামাজ, রোজা নিয়মিত পালন করি। ব্যক্তিগত জীবনে আমি খুব হ্যাপি। অর্থ নয়, সম্মানটাই আমার কাছে মুখ্য। ছোটবেলায় মা শিখিয়েছিলেন, যে কোনো মূল্যে নিজের চরিত্রটা ঠিক রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর