সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ই ন্টা র ভি উ

আমি এ দেশের সাহিত্যকে ভালোবাসি

আমি এ দেশের সাহিত্যকে ভালোবাসি
ঢাকা লিট ফেস্টের অষ্টম আসরে ঢাকা এসেছিলেন পুলিত্জার বিজয়ী মার্কিন কথাসাহিত্যিক ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক অ্যাডাম জনসন। এবারের উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন তিনি। উৎসবের শেষ দিন রাজনীতি ও সাহিত্যের পাশাপাশি মানবতা ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাডাম জনসন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তফা মতিহার

 

বাংলাদেশে এসে কেমন লাগছে?

আমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি। সত্যি বলতে খুব ভালো লাগছে। ঢাকা খুবই সুন্দর শহর এবং আমি এই সাহিত্যের উৎসবকে খুব ভালোবাসি। সাহিত্যের উৎসবে ঘুরতে এসে ঢাকার সৌন্দর্য এবং এখানকার মানুষের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। আমি মনে করি মুক্তচিন্তার ক্ষেত্রে এই উৎসব একটা বড় সম্পদ। এই উৎসবে এসে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

 

বাংলাদেশের সাহিত্য বিষয়ে ধারণা আছে  আপনার?

 বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আমার অনেক ছাত্র আছে। আমি তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাহিত্য সম্বন্ধে আগেই অবগত আছি। যা একজন শিক্ষক হিসেবেও আমাকে মুগ্ধ করে। এই দেশে প্রথমবার এলেও এখানকার সাহিত্য সম্বন্ধে আমার মোটামুটি ধারণা আছে। একটা নতুন দেশে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমি নতুন লেখকদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারব, নতুন নতুন বই পড়তে পারব। যে কারণে আমি আমার সাধ্যমতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরতে চেষ্টা করি।

 

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় সমস্য কি বলে আপনি মনে করেন?

জলবায়ু পরিবর্তন একটা বৈশ্বিক সমস্যা। যে সব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং হচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমি সুন্দরবন ঘুরতে চাই। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের এই সম্পদটিও ক্ষতির সম্মুখীন। অথচ ম্যানগ্রোভ বনটি রক্ষা করা গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি বাংলাদেশে কিছুটা কম হতো।

 

‘দ্য অরফান মাস্টার’স সন’-এর জন্য ২০১২ সালে সম্মানজনক পুলিত্জার পুরস্কার অর্জন করেন। বইটির বিষয়ে একটু বলুন।

 উত্তর কোরিয়া হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দমনমূলক ও উত্পীড়নের জায়গা। হতে পারে পৃথিবীতে মানুষের জন্য শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে অনেক ক্ষতিকর জায়গা আছে। কিন্তু আমি মনে করি উত্তর কোরিয়াই মানবজাতির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর জায়গা। উত্তর কোরিয়া এমন একটি দেশ যেখানে লেখকদের বই লেখার অনুমতি নেই। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা সহজে কথাও বলতে চায় না বাইরের কারও সঙ্গে। আমার মনে হয়েছে তাদের নিজেদেরই অনেক গল্প আছে, যা বিশ্বের কাছে বলা উচিত।

 

আপনার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য প্যারাসাইট লাইক আস’ নিয়ে একটু বলুন।

আমি মনে করি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের জীবনের গল্পগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমার জন্মভূমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তো বিরাট ব্যাপার। কারণ আমেরিকা পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ক্ষুদ্র জাতিসত্তার দেশ। তাই তাদের জীবনের গল্পগুলো, তাদের কথাগুলো আমার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

 

বই লেখা নিয়ে কোনো মজার অভিজ্ঞতা আছে?

পর্যটনের মাধ্যমে যে কয়টি দেশ অর্থ উপার্জন করে উত্তর কোরিয়াও তেমনি একটি দেশ। তবে লেখকদের ভ্রমণের বিষয়ে তাদের আপত্তি ছিল। যদিও তাদের কাছে আমি ভালো ছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল সংবেদনশীল এই সফরটি নিয়ে সরকার নেতিবাচক কিছু দেখাবে না। কিন্তু আমার ধারণাটি সত্য ছিল না।

সর্বশেষ খবর