৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ‘ফাগুন হাওয়ায়’। প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন কবে থেকে?
প্রচার-প্রচারণার বিষয়টা আসলে তৌকীর ভাই ভালো জানেন। তবে যতদূর শুনেছি মুক্তির আগে চলচ্চিত্রটি নিয়ে প্রচার-প্রচারণা নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। অচিরেই বাস্তবায়ন হবে। টিমের সবাই থাকবে প্রচারণায়। সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি টেলিভিশন, অনলাইন ও পত্রপত্রিকায় প্রচার-প্রচারণা তো চলবেই।
দীপ্তি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটি সম্পর্কে জানতে চাই...
চরিত্রটি সম্পর্কে স্পেশালি কিছু বলার নেই; বলা খুবই কঠিন! প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখলে বোঝা যাবে। দর্শক তখন আবিষ্কার করতে পারবেন আমার চরিত্রটি আসলে কেমন বা কি ধরনের। তবে আমি বলব, খুবই সুইট একটি ক্যারেক্টার করেছি।
চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে জানতে চাই।
মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে এই ছবিটি নির্মিত। ছবিতে নাসির চরিত্রে সিয়াম আর দীপ্তি চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। আরও রয়েছেন বলিউড অভিনেতা যশপাল শর্মা, যিনি পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে অভিনয় করেছেন। আরও রয়েছেন গুণী অভিনেতা আবুল হায়াত, ফজলুর রহমান বাবু, রওনক হাসান, সাজু খাদেমসহ অনেকেই। শুটিং হয় খুলনার পাইকগাছায় ও ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে।
ছবিটির নির্মাতাকে নিয়ে অভিমত কি?
তিনি প্রথমত একজন ভালো মানুষ। এরপর বলব, তিনি একজন গুড ডিরেক্টর ও স্ক্রিপ্ট রাইটার। তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভালো। খুবই ডিটেইলিং কাজ করেন। কাজটি করে অনেক ইনজয় করেছি।
এই চলচ্চিত্রটির সবচেয়ে কঠিনতম বিষয় কোনটি বলে আপনি মনে করেন?
সবচেয়ে কঠিন দিকটা হলো প্রপস। সেই ৭০ বছর আগের গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, প্রপস এই ছবির ডিরেক্টর তৌকীর ভাই খুবই সুনিপুণভাবে খুঁজে বের করেছেন! বিষয়টা ভালো লেগেছে।
‘ফাগুন হাওয়ায়’ নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
প্রত্যাশা অনেক! কারণ, ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে এর আগে তেমন করে ছবি নির্মিত হয়নি।
ইদানীং ওয়েব সিরিজেও কাজ করছেন। ওয়েব সিরিজগুলো কেমন হচ্ছে?
পজেটিভ, নেগেটিভ, ভালো-মন্দ কি তা বলতে পারব না। সেটা বোঝার অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেনি। আর আমি ভালো স্ক্রিপ্ট ও ভালো ডিরেক্টর হলেই কাজ করি। সেটা হতে পারে যে কোনো মাধ্যম। আসলে আমি সর্বদা ভালো কাজের সঙ্গেই থাকতে চাই।