রবিবার, ৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

অ্যালবামটি দুই বাংলার মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করবে

আলী আফতাব

অ্যালবামটি দুই বাংলার মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করবে

শুক্রবার ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার’ শিরোনামের একটি অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী  হৈমন্তী শুক্লা। দন্তচিকিৎসক অরূপরতন চৌধুরীর সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গান গেয়েছেন তিনি। পাঁচটি রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে একটি ভিডিও সিডি। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে।

 

কেমন আছেন?

আমি ভালো আছি। আর সব সময় ভালো থাকার চেষ্টা করি। গানটা আমার প্রাণ। আমি গাইলে ভালো থাকি। যত দিন গাইতে পারব, আশা করি ভালোই থাকব। গান গেয়ে দেখ, ভালো লাগবে। গানটা হচ্ছে  মনের সব রোগের ওষুধ।

 

এর আগেও তো আপনি বাংলাদেশে এসেছেন, তাই না?

হ্যাঁ, আমি প্রতিবারই বাংলাদেশে আসি কোনো না কোনো কাজে। তবে আমার মনের টানটা বেশি কাজ করে এ দেশের প্রতি। আর এবার এসেছি অরূপরতন চৌধুরীর আর আমার একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশনায়।

 

অ্যালবামটি প্রসঙ্গে কিছু বলুন?

আমার দু-একটা গান ভালো লেগেছে বলে আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। সে জন্যই গেয়ে যাচ্ছি। রবীন্দ্রসংগীত ভালো করে না শিখে গাওয়া যায় না। অরূপরতন ভাইয়ের অনুরোধে গাইলাম। জানি না কেমন হয়েছে। আমি কেবল দুই লাইন গান করেছি। ভালো-মন্দের বিচার করবে দর্শক-শ্রোতারা। অ্যালবামটি দুই বাংলার মৈত্রীর বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।

 

অরূপরতন চৌধুরী কেমন গান করেন?

এতকিছু একসঙ্গে করেও অরূপরতন গানটা ধরে রেখেছে, এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। আর একটি বিষয় হচ্ছে, সে মনেপ্রাণে গানটাকে ভালোবাসে।

 

বাংলাদেশের শিল্পীদের গান শোনা হয়?

আমি সময় পেলেই গান শুনি। যেমন বাংলাদেশের রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সত্যিই খুব ভালো গায়। আমি অনুষ্ঠানেও এ কথা বলেছি। আর একটি বিষয় হচ্ছে, আমরা গানের মানুষেরা একে অন্যের প্রশংসা করতেই চাই না। ভালো গাইলেও চাই না। একটু ভালো বললে কী হয়, বাবা? যদি খারাপও গায় কেউ, একটু ভালো বল না। গাইতে গাইতেই একসময় ভালো গাইবে।

 

বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে, তাতে করে কি দুই দেশের শিল্পীদের মধ্যে কোনো বিভেদ ঘটছে?

যুদ্ধ এখন হচ্ছে না, এটা একটা ভালো ব্যাপার। আমরা শিল্পের মানুষ, আমরা সব সময় শান্তি চাই। যুদ্ধ চাই না। এখন যুদ্ধ হচ্ছে না সেটা ভালোই হলো। এ ছাড়া আমরা পাকিস্তানে যেতে পারব না, পাকিস্তানের শিল্পীরা ভারতে আসতে পারবে না। আসলে শিল্পীদের যুদ্ধের মধ্যে জড়ানো উচিত নয়। গানের সঙ্গে কিন্তু এসবের কোনো যোগ নেই। পাকিস্তানের শিল্পীরাও যখন গান করে, কত ভালো লাগে শুনতে!

সর্বশেষ খবর